{এক পর্বের ভুতের গল্প} অশরীরী লিখেছেন তাহসান


শীতের দিন অমাবস্যার রাত। চারিদিকে অন্ধ্যকার অামি গ্রামের রাস্তা ধরে হাটছি অার গান করছি। মাঝে মাঝে জোরে জোরে শিষ দিচ্ছি। কিছু দূর যাবার পর মনে হলো কেউ অামাকে অনুসরণ করছে। অামি ডানে বায়ে পেছনে ফিরে কাউকে দেখতে পেলাম না। অাবার অামি শিষ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ঘন কুয়াশার সাথে রাতের অাধার, দুই হাত হাতের সামনের কিছুও ঠিক মত দেখতে পারছি না।
একটু ভয় ভয় লাগছিল মনের ভিতর। এবার জোরে জোরে গান গেয়ে অার শিষ দিয়ে একটু জোরে হাটছি, একটু পর মনে হলো কেউ অামার সাথে সুর মিলিয়ে গান করছে, অামি গান থামিয়ে দিলাম অাবার ডানে বায়ে তাকিয়ে দেখলাম না কেউ নেই। ভয়ে অামার শরীর দিয়ে ঘাম ঝড়ছে।
অামি অাসতে অাসতে গান গানছি অার শিষ দিচ্ছি। কিছু দূর যাবার পর অামি স্পষ্ট মেয়েলি কন্ঠে গান শুনতে পারলাম।
অামি অাবার ও চারিদিকে দেখলাম, না কিছুই নেই। ভয় লাগছে অনেক অাবার মন কে বুঝ দিলাম না কিছুই নেই। মনের ভুল ধারণা, এবার অামি নিঃশ্বদে হাটা শুরু করলাম। অনেক দূর পর্যন্ত হেটে চলে অাসলাম। কোন শব্দ নেই। অামি অাবার শিষ দিতে শুরু করলাম।
হঠাৎ করেই চারিদিকে বাতাস বইতে শুরু করলো অনেক জোরে মনে হচ্ছে অামার গায়ের চাদর খুলে যাবে। কে যেন খুব জোরে জোরে শিষ দিতে দিতে পেছন থেকে এগিয়ে অাসছে। অামার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।
অামি যত সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, ততই জোরে সেই শিষ অামার দিকে এগিয়ে অাসছে। একটা সময় তা ঠিক অামার পিছনে এসে দাড়িয়েছে অামি বুঝতে পারলাম।
যখনি অামি পিছনে তাকাতে যাবো তক্ষণি মনে হলো কেউ বলছে পিছনে তাকাবি না, পিছনে তাকাবি না পেছনে তাকাবি না, অামি সোজা সামনের দিকে দৌড়াচ্ছি, অামার শরীলের সমস্ত শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌড়াচ্ছি, সেও অামার পিছনে, পিছনে অাসছে অার বলছে পিছনে তাকাবি না, পেছনে তাকাবি না, পেছনে তাকাবি না। একটা সময় দৌড়াতে দৌড়াতে অামি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
যখন চোখ মেলে তাকাই তখন নিজেকে অাবিষ্কার করি অামার বাড়ির অাঙ্গিনায়।

Post a Comment

أحدث أقدم