রম্য-পুতুলের বাবা
~~প্রিয়ন্তি মুনা
আমার পাগলামি দেখে আম্মু সুন্দর নতুন দুটো পুতুল কিনে দিয়ে বলেছিলো -তোমার বেবি রুপকথা আর রুপন্তী।বেবিদের খেয়াল রাখবে সব সময় আর পুতুল কিনতে চাইবে না কেমন, অন্তি।আমিও নতুন পুতুল পেয়ে খুশিতে বলেছিলাম ঠিক আছে আম্মু।
আম্মু যেভাবে আমাকে যত্ন করতো আমিও সেভাবে রুপকথা আর রুপন্তীর যত্ন করতাম।একটু বড় হলে আম্মুকে জিজ্ঞেস করতাম, রুপকথা আর রুপন্তীর বাবাকে কিনে দিবা কবে? আম্মু আমার কথা শুনে হাসতো আর বলতো বড়ো হয়ে নাও তারপর ওদের বাবা আসবে।
সেদিন কলেজের সামনে এক ছেলেকে দেখে পুরাই ক্রাশ খাইছি। খুশিতে বাসায় এসে আব্বুকে বললাম, আব্বু জানো আজ না রুপকথা আর রুপন্তীর বাবাকে খুঁজে পাইছি। আব্বু আমার দিকে যেভাবে তাকায়েছিলো মনে হইছিলো কি যেন বড়ো অপরাধ করে আসছি আমি।
আজও সেই ছেলেকে দেখলাম বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে।ভাবলাম আজ ওই ছেলের কাছে যেয়ে বলেই দিবো, যে এতোদিন কোথায় ছিলো?যেই ভাবা সেই কাজ -কাছে যেয়ে বলেই দিলাম এই যে রুপকথা আর রুপন্তীর বাবা,ছেলেমেয়ে গুলোকে যে সেই ছোটবেলা থেকে মানুষ করছি সেই খেয়াল আছে নাকি,,,?
আমি এখন হয়রান হয়ে যাচ্ছি ওদের সামলাতে সামলাতে।
ছেলে তো কিছুক্ষন চুপচাপ থাকলো। তারপরে বলতে শুরু করলো আমিও তো তোমাকে এতোদিন খুঁজতেছি।তোমার মতো একজনের সিট খালি আছে আমার মেন্টাল ক্লিনিকে।তোমার ফোন নাম্বারটা দাও দেখি, আমি কাল তোমাদের বাসায় যেয়ে তোমার রুপকথা আর রুপন্তীকে নিয়ে আসবো।
আমিও বললাম নাম্বার তো মনে নাই কাল এখানে থাকবেন আমি রুপকথা আর রুপন্তীকে নিয়ে আসবো।আমি কথা শেষ করার আগেই দেখি ছেলে দৌড়াচ্ছে আর বাকিটা ইতিহাস,,,,
إرسال تعليق