গল্পটি সবাই পড়ুন...........
............... ............... .......
♥♥♥♥♥♥♥♥
"এর-ই নাম ভালোবাসা"
♥♥♥♥♥♥♥♥
............... ............... ......
...
..
.
রাবিতা:- হ্যালো,জানপাখি তুমি কোথায়?
হৃদি:- কেন?আমিতো বাড়িতে.......
রাবিতা:- এখনি একবার পার্কে আসো,প্লিজ...... ..
হৃদি:- আমার একটা টিউশনি আছে,আসতে পারলাম না........
রাবিতা:- প্লিজ,প্লিজ আসো...প্রতিদিনই তো পড়াও......আজকে ছুটি দাও...
হৃদি:- দেখ,এটা আমার কাজ।এটা না করলে আমার পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারব না......
রাবিতা:- প্লিজ আসো,যদি না আসো তাহলে তোমার সাথে আড়ি!!হুম....
হৃদি:- হা হা,আড়ি?কতক্ষনের জন্য? ১ঘন্টা?.......
রাবিতা:- না.............
হৃদি:- ২ ঘন্টা? ৫ঘন্টা? ১ দিন?..........
রাবিতা:- না,না, না.......
হৃদি:- তাহলে.......... ...
রাবিতা:- তুমি যতক্ষন না আসবে,ততক্ষন
আমি ফোন দিতেই থাকব, দিতেই
থাকব.......
হৃদি:- যদি ফোন বন্ধ করি??
রাবিতা:- তাহলে,যে বাড়িতে পড়াও
সেখানে গিয়ে তোমাকে নিয়ে
আসব!!
হৃদি:- এটা আবার কেমন আড়ি? তুমি
না,আসলেই একটা.....
রাবিতা:- কি?বল বল...পাগলি তো?
সেটাই ভালো....তবুও প্লিজ আজকে
আসো..
অগত্যা রাজকে সেদিন ছুটি নিতে হল।
হৃদি আর রাবিতার সম্পর্ক তিন বছরের।
দুইজনাই অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র-
ছাত্রী।
হৃদি মধ্যোবিত্ত ঘরের সন্তান।কিন্তু
রাবিতা বড়লোক বাবার আদরের
একমাত্র মেয়ে। দুইজনাই দুজনাকে খুব
ভালবাসে। মাঝে কে কাকে বেশি
ভালবাসে তা নিয়ে তর্ক হয়!!
প্রতিবারই রাবিতা ইচ্ছা করেই হার
মেনে নেয়!সেটা হৃদি হইত বুঝতে
পারে!হইতবা না। কিন্তু দুজনার সম্পর্ক
দেখে যে কোন প্রেমিক-প্রেমিক ার
হিংসা হবে!!
অবশেষে হৃদি পার্কের কাছাকাছি
আসল।দেখে রাবিতা একটা নীল শাড়ি
পড়ে,রাস্তার ওপরপ্রান্তে দাড়িয়ে
আছে। এমনিতেই রাবিতা খুব সুন্দর। আজকে
আরো বেশি সুন্দর লাগছে!!
হৃদি হা করে তাকিয়ে আছে....
ওপাশ থেকে হৃদির হা করে
তাকিয়ে থাকা দেখতে পেল রাবিতা।
হাত দিয়ে ইশারা করল,খবর আছে!!
হঠাৎ কি যেন ভেবে হৃদি দৌড়ে
রাবিতার কাছে আসতে চাচ্ছিল.....
কিন্তু......... ........(এক্সিড েন্ট).......... ..........
হৃদি নিজেকে একটা হাসপাতালের
কেবিনে আবিষ্কার করল! মাঝে ঠিক
কতক্ষন সময় কেটেছে,হৃদি আন্দাজ
করতে পারল না!!তবে এতটুকু বুঝতে
পাড়ল,আরেকটা পড়ন্ত বিকালের
সমাপ্তি হতে চলেছে!
তার কিছুক্ষন পড়ে হৃদি আবিষ্কার
করতে পাড়ল,ওর বাম পা টা নেই....
কিন্তু,,,ওর কোন দুঃখ হচ্ছে না!!
ভাগ্যকে মেনে নিতেই হবে....তাই খুব
স্বাভাবিক।
একটু পড়ে যা দেখল?তা ওর চোখ
বিশ্বাস করতে পারছিল না!!
দেখে রাবিতা একটু দূড়ে একটা চেয়ারে
ঘুমিয়ে আছে........
ঠিক তখন ডাক্তারের আগমন।
ডাক্তারঃ এখন কেমন লাগছে আপনার?
হৃদি:- কোন কথা নেই! এক পলকে
তাকিয়ে আছে রাবিতার দিকে......
ডাক্তার সেটা লক্ষ্য করল.........
ডাক্তারঃ খুব ভাগ্যগুনে ওমন একটা বউ
পাওয়া যায়!!.......
হৃদি:- মা............ন ে?
ডাক্তারঃ কাল সারারাত ওনি ঘুমান
নি! আর যখন শুনতে পেলেন, আপনার
একটা পা কাটতে হবে.....সে কি
কান্না?? সারারাত নামাজ
পড়েছে....আপনার জ্ঞান তখনো
ফেরেনি! কিছুক্ষন আগেও কথা
বলছিলেন কি করা যায়?? আমি বল্লাম
প্লাস্টিকের পা লাগাতে হবে.....
এখন বোধহয় ঘুমাচ্ছেন.....
আপনার কি কিছু লাগবে? হৃদি সাহেব?
হৃদি:- হা?.....না না......
ডাক্তারঃ আপনার ঘুমুনো দরকার।
ঘুমানোর চেষ্টা করুন,কিছু লাগে
নার্সকে ডেকে বলবেন..........
ডাক্তার চলে গেলেন........
হৃদি একপলকে তাকিয়ে আছে রাবিতার
দিকে....কি সুন্দর একটা মেয়ে!কত সুন্দর
লাগছে...কোন কিছুর অভাব নেই.........
এ যেন all is well.....শুধু এ কথাটা বললেও কম
হবে। ওর একটা সুন্দর ভবিষৎ
আছে......ভাবছে আর নিজের অজান্তে
চোখের অশ্রুধারা বেয়ে চলেছে.......
রাত ৮ টায় রাবিতার ঘুম ভাঙ্গল। তখনো
হৃদি ওর দিকে চেয়ে ছিল!!আর
চোখের পানি বাধ মানছিল না.......
রাবিতা:- তোমার কখন জ্ঞান ফিরল?
হৃদি:- জীবনটা কিন্তু খেলা
না......এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে
হবে...........
রাবিতা:- তো?....আমি কি করব?
হৃদি:- আমার একটা কথা রাখবে....?
রাবিতা:- কি?........
হৃদি:- আমাকে ভুলে যাবে!সুন্দর
মনের একটা ছেলেকে বিয়ে করবে!!
বিশ্বাস কর? আমার এতটুকু দুঃখ থাকবে
না...
রাবিতা:- না..........!!
হৃদি:- দেখ,জীবনটা ছেলে খেলা
না। আবেগ দিয়ে জীবন চলে না।
বাস্তবতার সাথে চলতে হয়..........
রাবিতা:- দেখ,যা হয়েছে তারউপর
আমাদের কারো হাত নেই!!আর যদি
বল,,তাহলে এর জন্য আমিই দোষি.......
হৃদি:- প্লিজ,এর জন্য নিজেকে দোষী
করে আমাকে কষ্ট দিবে না। আমার
জন্য হলেও অন্তত তুমি নতুন শুরু কর....দেখবে
ভালো লাগবে.......
তবুও আমার মত একজন পঙ্গুর সাথে...........
রাবিতা:- তাহলে আমিও আমার একটা
পা কেটে ফেলব!!আমার আর তোমার
ভিতর কোন তফাৎ থাকবে না!! তুমিও
পঙ্গু, আমিও পঙ্গুু!!!
হৃদি:- সরি,আসলে আমি বুঝতে
পারিনি তুমি আমাকে এতটা
ভালবাস!!আজ জীবনের কাছে সর্বোচ্চ
হারটা তুমিই হারালে আমাকে..........
.আজ আমার সব জয়,, একটা হারের কাছে
মাথা নত করল.......
রাবিতা:- বাদ দেও তো!...তোমার
অপারেশন হবে....তুমি আবার হাটবে..
দুজনাই কাঁদছে ....এ কান্না ফুরোবার
না! এ কান্না কোন দুঃখের কান্না
না....
বাইরে থেকে দুটা নার্সেরও কান্নার
আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে,,যারা
জানালার কাছে দাঁড়িয়ে কথা
শুনছিল......
প্রকৃতিও বোধহয় অঝোরে কাদছে....
ভালবাসা যদি হয় এমন পাগলামি ? যদি
হয় এমন অন্ধ! তবে সেটাই প্রকৃত
ভালবাসা........
.....
প্রকৃত ভালবাসা দেহে নয়,,মনে
বিরাজ করে...........
দেহের ভালবাসা ফুরিয়ে
যায়....কিন্তু মনের ভালবাসা বেচে
থাকে চিরকাল.........
...............
♥♥♥♥♥♥♥♥
"এর-ই নাম ভালোবাসা"
♥♥♥♥♥♥♥♥
...............
...
..
.
রাবিতা:- হ্যালো,জানপাখি তুমি কোথায়?
হৃদি:- কেন?আমিতো বাড়িতে.......
রাবিতা:- এখনি একবার পার্কে আসো,প্লিজ......
হৃদি:- আমার একটা টিউশনি আছে,আসতে পারলাম না........
রাবিতা:- প্লিজ,প্লিজ আসো...প্রতিদিনই
হৃদি:- দেখ,এটা আমার কাজ।এটা না করলে আমার পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারব না......
রাবিতা:- প্লিজ আসো,যদি না আসো তাহলে তোমার সাথে আড়ি!!হুম....
হৃদি:- হা হা,আড়ি?কতক্ষনের
রাবিতা:- না.............
হৃদি:- ২ ঘন্টা? ৫ঘন্টা? ১ দিন?..........
রাবিতা:- না,না, না.......
হৃদি:- তাহলে..........
রাবিতা:- তুমি যতক্ষন না আসবে,ততক্ষন
আমি ফোন দিতেই থাকব, দিতেই
থাকব.......
হৃদি:- যদি ফোন বন্ধ করি??
রাবিতা:- তাহলে,যে বাড়িতে পড়াও
সেখানে গিয়ে তোমাকে নিয়ে
আসব!!
হৃদি:- এটা আবার কেমন আড়ি? তুমি
না,আসলেই একটা.....
রাবিতা:- কি?বল বল...পাগলি তো?
সেটাই ভালো....তবুও প্লিজ আজকে
আসো..
অগত্যা রাজকে সেদিন ছুটি নিতে হল।
হৃদি আর রাবিতার সম্পর্ক তিন বছরের।
দুইজনাই অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র-
ছাত্রী।
হৃদি মধ্যোবিত্ত ঘরের সন্তান।কিন্তু
রাবিতা বড়লোক বাবার আদরের
একমাত্র মেয়ে। দুইজনাই দুজনাকে খুব
ভালবাসে। মাঝে কে কাকে বেশি
ভালবাসে তা নিয়ে তর্ক হয়!!
প্রতিবারই রাবিতা ইচ্ছা করেই হার
মেনে নেয়!সেটা হৃদি হইত বুঝতে
পারে!হইতবা না। কিন্তু দুজনার সম্পর্ক
দেখে যে কোন প্রেমিক-প্রেমিক
হিংসা হবে!!
অবশেষে হৃদি পার্কের কাছাকাছি
আসল।দেখে রাবিতা একটা নীল শাড়ি
পড়ে,রাস্তার ওপরপ্রান্তে দাড়িয়ে
আছে। এমনিতেই রাবিতা খুব সুন্দর। আজকে
আরো বেশি সুন্দর লাগছে!!
হৃদি হা করে তাকিয়ে আছে....
ওপাশ থেকে হৃদির হা করে
তাকিয়ে থাকা দেখতে পেল রাবিতা।
হাত দিয়ে ইশারা করল,খবর আছে!!
হঠাৎ কি যেন ভেবে হৃদি দৌড়ে
রাবিতার কাছে আসতে চাচ্ছিল.....
কিন্তু.........
হৃদি নিজেকে একটা হাসপাতালের
কেবিনে আবিষ্কার করল! মাঝে ঠিক
কতক্ষন সময় কেটেছে,হৃদি আন্দাজ
করতে পারল না!!তবে এতটুকু বুঝতে
পাড়ল,আরেকটা পড়ন্ত বিকালের
সমাপ্তি হতে চলেছে!
তার কিছুক্ষন পড়ে হৃদি আবিষ্কার
করতে পাড়ল,ওর বাম পা টা নেই....
কিন্তু,,,ওর কোন দুঃখ হচ্ছে না!!
ভাগ্যকে মেনে নিতেই হবে....তাই খুব
স্বাভাবিক।
একটু পড়ে যা দেখল?তা ওর চোখ
বিশ্বাস করতে পারছিল না!!
দেখে রাবিতা একটু দূড়ে একটা চেয়ারে
ঘুমিয়ে আছে........
ঠিক তখন ডাক্তারের আগমন।
ডাক্তারঃ এখন কেমন লাগছে আপনার?
হৃদি:- কোন কথা নেই! এক পলকে
তাকিয়ে আছে রাবিতার দিকে......
ডাক্তার সেটা লক্ষ্য করল.........
ডাক্তারঃ খুব ভাগ্যগুনে ওমন একটা বউ
পাওয়া যায়!!.......
হৃদি:- মা............ন
ডাক্তারঃ কাল সারারাত ওনি ঘুমান
নি! আর যখন শুনতে পেলেন, আপনার
একটা পা কাটতে হবে.....সে কি
কান্না?? সারারাত নামাজ
পড়েছে....আপনার জ্ঞান তখনো
ফেরেনি! কিছুক্ষন আগেও কথা
বলছিলেন কি করা যায়?? আমি বল্লাম
প্লাস্টিকের পা লাগাতে হবে.....
এখন বোধহয় ঘুমাচ্ছেন.....
আপনার কি কিছু লাগবে? হৃদি সাহেব?
হৃদি:- হা?.....না না......
ডাক্তারঃ আপনার ঘুমুনো দরকার।
ঘুমানোর চেষ্টা করুন,কিছু লাগে
নার্সকে ডেকে বলবেন..........
ডাক্তার চলে গেলেন........
হৃদি একপলকে তাকিয়ে আছে রাবিতার
দিকে....কি সুন্দর একটা মেয়ে!কত সুন্দর
লাগছে...কোন কিছুর অভাব নেই.........
এ যেন all is well.....শুধু এ কথাটা বললেও কম
হবে। ওর একটা সুন্দর ভবিষৎ
আছে......ভাবছে আর নিজের অজান্তে
চোখের অশ্রুধারা বেয়ে চলেছে.......
রাত ৮ টায় রাবিতার ঘুম ভাঙ্গল। তখনো
হৃদি ওর দিকে চেয়ে ছিল!!আর
চোখের পানি বাধ মানছিল না.......
রাবিতা:- তোমার কখন জ্ঞান ফিরল?
হৃদি:- জীবনটা কিন্তু খেলা
না......এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে
হবে...........
রাবিতা:- তো?....আমি কি করব?
হৃদি:- আমার একটা কথা রাখবে....?
রাবিতা:- কি?........
হৃদি:- আমাকে ভুলে যাবে!সুন্দর
মনের একটা ছেলেকে বিয়ে করবে!!
বিশ্বাস কর? আমার এতটুকু দুঃখ থাকবে
না...
রাবিতা:- না..........!!
হৃদি:- দেখ,জীবনটা ছেলে খেলা
না। আবেগ দিয়ে জীবন চলে না।
বাস্তবতার সাথে চলতে হয়..........
রাবিতা:- দেখ,যা হয়েছে তারউপর
আমাদের কারো হাত নেই!!আর যদি
বল,,তাহলে এর জন্য আমিই দোষি.......
হৃদি:- প্লিজ,এর জন্য নিজেকে দোষী
করে আমাকে কষ্ট দিবে না। আমার
জন্য হলেও অন্তত তুমি নতুন শুরু কর....দেখবে
ভালো লাগবে.......
তবুও আমার মত একজন পঙ্গুর সাথে...........
রাবিতা:- তাহলে আমিও আমার একটা
পা কেটে ফেলব!!আমার আর তোমার
ভিতর কোন তফাৎ থাকবে না!! তুমিও
পঙ্গু, আমিও পঙ্গুু!!!
হৃদি:- সরি,আসলে আমি বুঝতে
পারিনি তুমি আমাকে এতটা
ভালবাস!!আজ জীবনের কাছে সর্বোচ্চ
হারটা তুমিই হারালে আমাকে..........
.আজ আমার সব জয়,, একটা হারের কাছে
মাথা নত করল.......
রাবিতা:- বাদ দেও তো!...তোমার
অপারেশন হবে....তুমি আবার হাটবে..
দুজনাই কাঁদছে ....এ কান্না ফুরোবার
না! এ কান্না কোন দুঃখের কান্না
না....
বাইরে থেকে দুটা নার্সেরও কান্নার
আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে,,যারা
জানালার কাছে দাঁড়িয়ে কথা
শুনছিল......
প্রকৃতিও বোধহয় অঝোরে কাদছে....
ভালবাসা যদি হয় এমন পাগলামি ? যদি
হয় এমন অন্ধ! তবে সেটাই প্রকৃত
ভালবাসা........
.....
প্রকৃত ভালবাসা দেহে নয়,,মনে
বিরাজ করে...........
দেহের ভালবাসা ফুরিয়ে
যায়....কিন্তু মনের ভালবাসা বেচে
থাকে চিরকাল.........

إرسال تعليق