গল্পঃ-ঠোঙা,লেখক“ ইবনে খায়ের ”


কে যেন বলেছিলেন, জনৈক ছেলে একবার কুড়িয়ে পাওয়া " বিসমিল্লা " লেখার একটি কাগজকে তুলে সম্মান করায় বড় ওলী হয়ে ছিলেন। ঘটনা যাই হোক, তবে কাজটা অবশ্যই ভাল করেছে।
কাগজের একটি ঠোঙা টেবিলের উপর পেলাম। কে এনে রেখে দিয়েছে। যেখানে কুরআনের আয়াত, হাদিসের শব্দাবলিসহ আরো অনেক মহাবাণী জড়ানো। একটা বইয়ের পৃষ্ঠার পাতা দিয়ে ঠোঙাটা তৈরি করা হয়েছে।
" বই " জ্ঞান শেখার একটি মাধ্যম। আমরা বছর শেষ করেই বইগুলির সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখি না প্রাক্তন প্রেমিকার মতো। হাত বদল হয়ে কিছু বইয়ের আশ্রয় হয় পুরাতন বইয়ের দোকানে আর কিছু বইয়ের ঠাই হয় ঠোঙা তৈরির কারখানায়।
যে কোন বিষয়ের বই হোক, আপনি তা যত্নকরে রেখে রেখে দেন। একদিন এমন একজন মানুষ আসবে, যে এই বইগুলো পড়বে, আলোকিত হবে এবং আলো ছড়াবে।
বইয়ের পাতা, পত্রিকার পাতা প্রায়ই এখানে ওখানে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এগুলো তুলে নিরাপদ স্থানে রেখে দিন। এতে আপনার জ্ঞানের প্রতি সম্মান প্রকাশ পাবে। আপনি সত্যিকার শিক্ষিত কি না, তা যাচাই হয়ে যাবে।
পুরাতন পত্রিকা, বই সস্তায় বিক্রি করা ছাড়াও বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিছু করতে না পারলে পুড়ে ফেলুন। এতে বইয়ের পাতায় কেউ পা ফেলতে পারবে না ; পত্রিকার ময়লা কাগজে কেউ হাত-মুখ মুছবে না ; বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের জন্য ব্যবহার হবে না।
আমরা একটু সচেতন হলেই এসব করা সম্ভব। এতে দেশ, দিল দু'টোই সাফ থাকবে।
“ ইবনে খায়ের ”

Post a Comment

Previous Post Next Post