অবহেলিত বউ


১ম পর্ব










প্রতিদিনের মতো মামার দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছি আর আনমনে নিকোটিনে নিজেকে পোড়াচ্ছি। এমন সময় একটা মেয়ে দোকানে আসলো। মামার কাছে কি যেন চাইলো। আমি সেদিকে কান দেই নি । তবে মেয়ে টা কিছু দিন ধরে দোকানে আসে । বিশেষ করে যখন আমি থাকি দোকানে । এসে আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখে । যদিও আমি তার দিকে তাকাই না তবুও বুঝতে পারি । মনে হয় যদি আমি দোকানের বাইরে বসে থাকতাম তবে হয়তো কথা বলতো। কিন্তু আমি বেশির ভাগ সময় দোকানের ভিতরে বসে সিগারেট টানি। সিগারেট কিনতে কিনতে এতোটা আপন হইছে মামা যে এসে আর চাওয়া লাগে না । এসে বসলেই সিগারেট বের করে দেয়।
কিছু দিন পর, আমি দোকানে গেলাম । গিয়ে দেখি আমার বেশ কিছু বন্ধু । তাদের সাথে দাড়িয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম ।
মেয়েটা দোকানে আসলো। আমিও সেই সময় মামার থেকে সিগারেট চাইলাম
- কি রে সিগারেট খাবি তোরা?
- ভালো কিছু খাওয়াতে পারিস না
- এর থেকে ভালো কিছু আছে রে? তো চল ড্রিংস করাই ।
- এখন এটাই খাই।
- মামা এক প্যাকেট দেন তো।
- মামা আমায় দেন আমি দিচ্ছি ( মেয়েটা )
- আচ্ছা ( মামা)
- এই নেন আপনার সিগারেট ।
- হুম । এই নে সবাই । কেউ একটার বেশি নিবি না ।
মেয়ে টা যে পিছনে দাড়িয়ে আছে তা আমি খেয়াল করলাম না ।
- মামা মেয়েটা তো যায় নি
- তো আমি কি করবো ? কোলে করে দিয়ে আসবো ?
- না তখন থেকে দাড়িয়ে আছে তো তাই বললাম ।
- তোর এতো দরদ উতলাচ্ছে কেন?
- এই যে ( মেয়েটা)
- তোরে ডাকে
- ডাকুক
- এই যে শুনছেন
- কি সমস্যা?
- কোনো সমস্যা নেই ।
- তাহলে এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন ?
- ঐ আরিফ রাগ দেখিয়ে কথা বলছিস কেন? শান্ত হয়ে কথা বল ( দোকানদার মামা)
- আচ্ছা । বলেন কি বলবেন ?
- আআআমি আপপনার সাথে এএকটু কথা ববলতে চাই ( মেয়ে টা ভয়ে তোতলাতে লাগলো)
- হুম বলুন
- এখানে না
( আবার রাগ উঠে গেল )
- তাহলে কি আপনার বাসায় যাবো
- আরিফ একটু ধীরে কথা বল না।
- তোদের সিগারেট শেষ
- হুম ।
- এখন ভাগ।
- আচ্ছা।
বন্ধু গুলো চলে গেল
- দেখুন আপনি এভাবে আমার সাথে কথা বলবেন না । আমার ভয় পায়
- ভয় পেলে কথা বলতে আসছেন কেন
- ধমকাচ্ছেন কেন?
- তো এখন কি আপনার সাথে আমায় ন্যাকামি করে কথা বলতে হবে
- আমি কিন্তু কান্না করবো
- দূর ।
আবার আর একটা সিগারেট ধরালাম
- একটু আগেই তো একটা খেলে আবার
- এই তোর সমস্যা কি হ্যা। আমার টাকায় কেনা সিগারেট আমি একসাথে দশটা খাবো তাতে তোর কি?
- না খাওয়া যাবে না ।
মেয়েটা আমার মুখ থেকে সিগারেট টা টেনে ফেলে দিলো।
কোনো কথা না বলে গায়ে যতো শক্তি আছে সব দিয়ে কানের নিচে একটা বসিয়ে দিলাম ।
- তোর সাহস হয় কি করে তুই আমার জানটারে মাটিতে ফেলে দিস।
মেয়েটা আর কিছু না বলে কান্না করতে করতে চলে গেল ।
আমি আবার গিয়ে দোকানে বসলাম।
- কি রে মেয়েটাকে মারলি কেন ?
- ওর সাহস হয় কি করে ও আমার সিগারেট ফালাই দেয়
- শুধু সিগারেট টাই তো ফালাইছে অন্য কোনো মূল্যবান জিনিস তো আর ফালায় নাই ।
- কি যে বলেন না? এটার মূল্য অনেক । আমার তিন বেলা ভাত না খেলেও চলবে কিন্তু সিগারেট না খেলে চলবে না ।
- এটা যে তোর জীবন ক্ষয় করে দিচ্ছে সেটা জানিস?
- তাই জন্য তো এটাকে এতো ভালোবাসি। আচ্ছা মামা আমি গেলাম ।
পরের দিন আবার মামার দোকানে গেলাম । আমার যখনি সিগারেট শেষ হয় তখনি আমি দোকানে হাজির । আর যখন আমি হাজির হই তখন সেই মেয়েটাও হাজির ।
আমি একটু আধটু গিটার বাজাতে জানি। আর আজ দেখি মামার দোকানে কে যেন গিটার নিয়ে আসছে ।
আমায় দেখে মামা বললো
- কি রে জিনিস খতম হইছে
- হুম ।
- শেষ না হইলে তো আর তোর দেখা পাওয়া যায় না ।
- মামা গিটার টা কার?
- একটা ছেলের । রেখে কই যেন গেলো
- আমাদের এলাকার ?
- না। মনে হয় পাশের এলাকার।
- ওহহ।।
গিটার টা হাতে নিয়ে সিগারেট লাগালাম। সিগারেট টানছি আর গিটার বাজাচ্ছি । এমন সময় কে যেন আমার মুখ থেকে সিগারেট টা টেনে ফেলে দিলো ।
মাথা তুলে দেখি ঐ মেয়েটা। মাথা সেই পরিমানে গরম হয়ে গেল । আজ আর একটা না। দুই গালে দুই টা বসিয়ে দিলাম ।
- এই তোর সমস্যা কি?
- সমস্যা আমার না সমস্যা আপনার
- মানে ?
- এভাবে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন কেন ?
- আমার জীবন আমার ইচ্ছে তোর কি?
- আমার অনেক কিছু ।
- আর যেন কোনো দিন না দেখি আমার সামনে আসতে
- আমি আসবো । রোজ আসবো ।
- কাল আর আজ তোকে মেরেছি সিগারেট এ হাত দেওয়ার জন্য । কিন্তু এরপর থেকে সামনে দেখলেই মারবো মনে রাখিস
- যা খুশি করেন কিন্তু আমি রোজ আসবো ।
- তোর কি লাগে না মাইর গুলো ।
- অন্য কেউ হলে হয়তো লাগতো । কিন্তু আপনি তো তাই লাগে না ।
- পাগল না কি।
- আমায় আপনার বন্ধু বানাবেন ?
- হাহাহাহা
- হাসছেন কেন?
কোনো কথা না বলে গিটার টা রেখে হাসতে হাসতে চলে আসলাম । মামা আর মেয়েটা আমার দিকে অবাক হয়ে দেখতে লাগলো।
এভাবেই রোজ মেয়েটা আমার সাথে কথা বলতো। রোজ একই কাজ করতো এসে আমার সিগারেট এ হাত দিতো । যেটা আমার অসহ্য ছিলো । তাই রোজ থাপ্পড় মারতাম।
আজ হঠাৎ সকাল সকাল সিগারেট শেষ হয়ে গেল কিভাবে ? ওহহ মনে পড়ছে কাল তো রাগ করে আসার সময় সিগারেট আনতেই মনে ছিলো না ।
হাটতে হাটতে মামার দোকানে গেলাম ।
- কি খবর বাবাধন আজ এতো সকাল সকাল দোকানে
- কাল যাওয়ার সময় দিছলেন কি?
- যে রাগ দেখাই গেলি তোরে কি দিমু?
- ডাকতে তো পারতেন
- হ ডাইকা আমি ঝাড়ি খাই।
- হুম সিগারেট দেন।
- সারাদিন কতো সিগারেট খাস রে
- মামা আপনি আবার বকবক শুরু করলেন ।
- আচ্ছা বাদ দে । মায়ার সাথে বন্ধু হলে তোর সমস্যা কি ?
- আপনি ভালো করেই জানেন আমি মেয়ে মানুষের সাথে মিশি না।
- আগে তো মিশতি
- মামা আপনার পায়ে ধরি। আগের কথা মনে করিয়ে দিবেন না ।
- আচ্ছা ।
- আমি গেলাম ।
- আজ আর আসবি না
- আসতে পারি বিকেলে ।
- আরিফ দাড়াও আমি আসছি ( একটা মেয়ে কন্ঠ কিন্তু কোথায় থেকে আসছে ? চারপাশে খুজে উপরে তাকাতেই দেখি মামার দোকানের পাশের বাড়ির ছাদ থেকে ঐ মেয়েটা ডাকছে )
মেয়েটাকে দেখে আমি আর এক মূহুর্ত দেরি না করে তাড়াতাড়ি চলে আসলাম । । মেয়েটা দোকানে এসে পিছনে থেকে আমায় বেশ কিছু বার ডাকলো আমি শুনেও না শোনার অভিনয় করে চলে আসলাম।
দুই দিন ধরে কেন জানি মেয়েটা দোকানে আসে না । অসুস্থ হলো নাকি আবার ? দূর আমি কেন ভাবছি । যা হয় হবে আমায় তো কেউ জ্বালাচ্ছে না।
দুই দিন পর । আজ দোকানে বসে আছি । হঠাৎ দূরে থেকে কাউকে আমার চোখে পড়লো। চোখ যেন আর সারতে চাইছে না। তবুও নিচের দিকে তাকিয়ে রিইলাম।
মেয়েটা মনে হয় আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি মাথা তুলতেই আমার হাত ধরে টেনে অন্য একটা জায়গায় নিয়ে গেল।
- এখানে নিয়ে আসলে কেন?
- আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে
- সেগুলো তো দোকানের সামনে বলা যেত ।
- বলতাম । কিন্তু ওখানে আজ অনেক মানুষ তাই বললাম না ।
- কি কথা ?
- বলছি
- খুব তাড়াতাড়ি
- এভাবে তাকালে বলতে পারবো না
- কেন? আপনাকে আমার ভয় পায়
- তাহলে কথা বলতে আসো কেন ?
- মন টা যে মানে না
- কি???
- হুম ।
- তাড়াতাড়ি বলো কি বলবে নয়তো আমি গেলাম
- এই না দাড়ান বলছি ।
- হুম বলো।
- স্বপ্নে ঘেরা আরিফ এটা কি আপনার আইডি
- হ্যা কেন?
- প্রোফাইল পিকটা কি আপনার
- হুম । একবার এই পিকটার সাথে নিজেকে মিলিয়ে দেখবেন প্লিজ
- না।
- আপনি তো এমন ছিলেন না । দেখতেও অনেক সুন্দর ছিলেন তাহলে এখন এমন হয়ে গেলেন কেন?
- তোমায় বলতে বাধ্য নই।
- বলতে হবে আমায়
- কেন বলবো আমি তোমায়?
- বলবে কারন আমি তোমায় ভালোবাসি
- ঠাসসসসসসসসস।। এরপর থেকে যেন এমন কথা না শুনি।
মায়া গালে হাত দিয়ে কাঁদতে লাগলো। আমি আর দাড়িয়ে না থেকে চলে আসলাম । আবার মামার দোকানে বসলাম ।
একজোড়া পায়রা পায়রি যাচ্ছে দোকানের সামনে দিয়ে । আগে কোনো দিন র্যাক দেই নি কিন্তু আজ দিবো। তাই পাশে একটা ছোট ভাই ছিলো ওকে ডাকতে বললাম ।
ও গিয়ে ডেকে নিয়ে আসলো
- কি রে তোর সামনে যে একজন বড় ভাই বসে আছে চোখে পড়ে না
- আমি কোনো বখাটে ছেলেকে বড় ভাই মানি না
- ঠাসসসসস।। বখাটে রা কি তোর বয়সের ছোট
যদিও ইচ্ছে ছিলো অল্প মজা নিয়ে ছেড়ে দিবো কিন্তু না। আজ এর ব্যান্ড বাজাবো।
-( গালে হাত দিয়ে চুপ দাড়িয়ে আছে )
- কথা বলিস না কেন?
-...
- এক তো বড় ভাই দেখে সালাম দিস নি তার উপর মুখে মুখে তর্ক।
- সরি ভাই ।
- ঠাসসস।। ভাই বাংলা সরি ইংরেজি কেন? তুই কি ব্রিটিশ বাংলাদেশের চুক্তি পত্র লিখছিস
- না ভাই
- তাহলে ইংরেজি বললি কে?
- ভুল হইছে
- সাথে ঐটা কে?
- বোন
- ঠাসসসসস।। তোর নাম কি
- রাদ।
- ওর ভাইয়ের নাম তো সিয়াম ।
- সরি ভাই
- আবার ইংরেজি বলিস। বল কে
- gf ভাই ।
- আমাদের এলাকায় এসে আমাদের এলাকার মেয়ে নিয়ে ঘুরছিস। বল gf মানে কি?
- আপনি ঘুরবেন না বলে কি অন্য কাউকে ঘুরতে দিবেন না
- এ কে রে
পিছনে তাকিয়ে দেখি মায়া। এই মেয়ের কি লজ্জা পায় না । একটু আগেই মারলাম । তবুও আসছে । কি মেয়ে মাইরি ??
আমি আর কিছু না বলে নিজেই চলে আসলাম । এই মেয়ে যে কি এমন দেখলো আমার মাঝে কে জানে ।
পরের দিন বিকেল বেলা বাসায় বসে আছি এমন সময় কে যেন আসলো। আম্মু তাদের নিয়ে বসে গল্প করছে ।
- আরিফ এই আরিফ
- হ্যা আম্মু
- একটু বাইরে আয় তো
- হ্যা বলো
- তোর আগের যে নোটস গুলো আছে সেগুলো কি তোর দরকার আছে
- কোন নোটস্
- কলেজে কি তুই নোটস্ করিস নি?
- হুম ।
- সেগুলো
- কি করবে
- মায়াকে দিয়ে দে
নামটা শুনেই কেমন লাগলো তাই মাথা তুলে দেখলাম । এ মেয়ের সাহস কতো আমার বাসায় আসছে
- আচ্ছা ।
- আন্টি আমি ওনার সাথে যাই
- আচ্ছা ।
রুমে এসে
- তোর যে কি করবো আমি
- কি করবে করো
- এই কাছে আসবি না
- কেন?
- শোন আমার বাসায় আসছিস তাই গায়ে হাত তুলছি না। নয়তো
- কি করতে মারতে ? মারো। আগে ভয় পেতাম কিন্তু এখন আর পাই না ।
- কিসের নোটস্ লাগবে তোর
- তোমার মনে জায়গা করার
- জীবনেও পারবি না। আর আপনি থেকে তুমিতে আসলো কেন ?
- হুম । এবার জান জানু তে যাবে
- থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফালাই দিমু ।
- ভয় পাই নাকি মারো মারো না
এই কথা বলতে বলতে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো।
- আম্মু ও আম্মু
( ছেড়ে দিলো)
- কি হইছে
- নোটস গুলো কই?
- তোর রুমে আমি জাই নাকি? দেখ কোথায় রাখছিস।
নোটস্ গুলো দিলাম । যদিও জানি সবই মিথ্যে । এসব নোটস্ ওর কোনো কাজে দিবে না ।
আম্মুর সামনে এসে
- আন্টি আমি গেলাম । আম্মু চলো
- হুম। সব নোটস্ পাইছিস
- হ্যা। আপনি আমার সাথে বন্ধু হবেন
- কেন?
- বন্ধু হতে তো কারণ লাগে না ।
- সমস্যা কি ওর বন্ধু হতে । আচ্ছা মায়া আজ থেকে তোমার বন্ধু ।
- তাহলে তুমি করেই বলি। তোমার নাম্বার টা দাও।
- কেন?
- যেটা বুঝবো না ফোন করে বুঝে নিবো
- আমার মুখস্থ নাই । পরে দিবো
- পরে আর দেখা হবে না।
- আচ্ছা আমার ফোন থেকে নাও ।
- সুইট আন্টি । গেলাম বাই
- ভাবি, মায়া আবার আসিও।
- আচ্ছা ভাবি।
- আমি যদি আন্টি রোজ আসি তাহলে সমস্যা হবে কি?
- না না। কিসের সমস্যা ।
- ওর?
- আরিফের আবার কি সমস্যা হবে । বরং ভালোই হবে । তুমি রোজ আসিও।
( আম্মু এবার আমায় বড় বাঁশ দিচ্ছে )
- আচ্ছা আন্টি গেলাম । কাল আবার আসবো ।
একটু পরেই মামার দোকানে গেলাম। কারন মাথা প্রচুর হট হয়ে আছে সিগারেট দরকার ।
- মামা সিগারেট দাও।
- এই নে
- আজ ঐ শালি আমার বাসায় গেছলো
- জানি
- জানো? কিভাবে ?
- তোর বন্ধু হবার জন্য আমার কাছে এসে কান্না করছিলো তাই মায়ার উপর মায়া হয়ে গেলো । তাই বললাম তোর বাসায় যেতে ।
- কেন?
- আমি তো জানি তুই তোর মায়ের কথার উপর কথা বলিস না। তাই বলে দিছি তোর মাকে পটাতে।
- এখন যদি আমি কান্না করি তবে কি আমার উপর মায়া হয়ে যাবে আর ঐ শালির হাত থেকে আমায় বাঁচাবে
- ভেবে বল? তুই কি সত্যি কাঁদতে পারবি
-( নিশ্চুপ )
- তোর চোখের পানি কি এখনো আছে ? শেষ হয়ে যায় নি।
- মামা আমি গেলাম ।
- জাবি তো এখন । খবর নিয়ে দেখছি মেয়েটা অনেক ভালো।
আমি কিছু না বলে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আনমনে কাঁদছি কিন্তু চোখের পাতা শুকনো । অনেক চেষ্টা করছি চোখ দিয়ে পানি আনতে কিন্তু আসছে না । মামার কথাই ঠিক চোখ দিয়ে কোনো পানি বের হচ্ছে না...........
.............
............
...........
..........
.........
........
......
....
...
..
.
To be continue

Post a Comment

Previous Post Next Post