সিগারেট VS বউ

গল্পের নাম: সিগারেট VS বউ











---হ্যালো এটা কি ফায়ার সার্ভিস।
---না এটা ফায়ারের কারখানা।
---ও যাক বাবা বাচা গেল।সিগারেট জ্বালাতে তাহলে আর দিয়াশালাই লাগবেনা।একবার ভাবছেন কতটাকা বাচবে আমার।
---এই যে হ্যালো,আপনার টাকা বাচবে কিনা সেটা জেনে আমার কি লাভ।আর এ ফায়ার দিয়ে সিগারেটা জ্বালানো যায়না।শুধু মানুষ পোড়ানো যায়।
---কি ডেন্জারাস ফায়ার মাইরি।একটু ধার দেবেন।
---ধার নিয়ে কি করবেন।
---শীতের দিনে আগুন পোহাতাম।
---ঘরে কি শীতের পোষাক আর কম্বল নাই।কি ফকির মাইরি আপনি।
---দেননা একটু ফায়ার।
---ধুর বললাম না এ ফায়ারে শুধু মানুষ পোড়ানো যায়।
----ফায়ারের এতো পাওয়ার ভালো না,আমি এমনিতেই পুড়ছি।আজ কি আর আসবেননা।
---আমার ঠেকা পড়ছে।ও বাসায় কখোনো যাবোনা আমি।
---ইসরে কি অভিমান।এতো অভিমান পান কোথায়।
---মঙ্গল গ্রহ থেকে।রাখেন ফোন।
ঝাড়ি দিয়ে ফোন রেখে দিল আমার ফায়ারের কারখানা মানে আমার স্ত্রী নওরীন।
অফিসের কাজের কোন ঝামেলা নাই আমার তাই বাসায় আসতে দেরি হয়না কখোনো।এ নিয়ে তাই অভিমান হওয়ার কোন কারন নেই নওরীনের।তবে একটা বাজে অভ্যাস আছে আমার -অসময়ে সিগারেট খাওয়া।যেটা নওশীনের রাগের একমাত্র কারন।
আমার আদরের শালা বাবু লিয়ন।হুট করেই আজ আমার বাসায়।আমি তখন সবে মাত্র অফিস থেকে এসে ড্রেস চেন্জ করছি।লিয়ন হুট করে আমার রুমে ঢুকে বললো,"চলেন দুলা ভাই ছাদে যাই।আজকের আকাসটা বেস পরিষ্কার,তারাও উঠেছে অনেক।
আমি হটাৎ করেই খেয়াল করলাম,দিনের বেলা নাহয় আকাসটা পরিষ্কার দেখা যায়।কিন্তু তারা উঠে কিভাবে।এর পিছনে যথেষ্ট পরিমানে কারন তো আছেই।আমি শালা বাবুর পিঠ চাপড়িয়ে বললাম,"তো শালা বাবু মাথা ঠিক আছে তোমার,দিনের বেলা তারা খুজছো।আর তাছাড়া জানোনা ছাদে ওঠা নিষেধ আমার।
শালা বাবু মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,"তাতো ঠিক বলেছেন দুলা ভাই,সত্যিই মাথাটা গেছে আমার।তা ছাদে উঠা নিষেধ কেন আপনার?
---আরে ছাদে উঠলেই নাকি আমি পাশের ফ্লাটের মেয়ে গুলোর সাথে টাংকি মারি,এমনটাই বলে তোমার আপু।
শালা বাবু কয়েক সেকেন্ড হেসে নিয়ে বলল,"দুলা ভাই কেইস তো সেটা না,হাতে নাতে যেদিন আপু আপনাকে সিগারেট হাতে ধরলো।তারপর থেকেই তো ছাদ আপনার জন্য নিষিদ্ধ।আর তাছাড়া আপনার চেহেড়া আমার মতো অতো সুন্দর না,যে পাশের বাসার মেয়েরা আপনাকে দেখে পটে যাবে।
আমি শালা বাবুকে কাছে ডেকে নিয়ে কানে কানে বলি,"এই নাও একশ টাকা,নিচের মামার দোকান থেকে দুইটা ব্লাক সিগারেট নিও,আর বাকিটা নিজে রেখে দিও।আর শোন খবরদার তোমার আপু যেনো জানতে না পারে।
শালা বাবু টাকা হাতে নিয়ে বলে--ঠিক আছে।আপনি চুপটি মেরে ছাদে যান।আমি সিগারেট নিয়ে আসছি।
নওরীন শাশুরী মাকে পেয়ে গল্পের ভান্ডার জুড়ে দিয়েছে।এই ফাকে ছাদে গেলে কিছুই টের পাবেনা সে।
আমি চুপটি করে ছাদে চলে যাই।মিনিট পাঁচেক পর শালা বাবু সিগারেট নিয়ে ছাদে আসে।তবে একটা জিনিষ কোন ভাবেই আমার বোধ গম্য হলোনা,শালা আমার কোন আবদার না করেই নিচে নেমে সিগারেট নিয়ে আসলো।ডাল মে কুচ কালা হে,কাহিনি তো আছেই,,,,,,,,।
শালা বাবু সিগারেট দিয়ে বললো,"জানেন দুলা ভাই কাল রাতে রিয়া আমার ভাল বাসা গ্রহন করেছে।
যাস শালা কাহিনি তাহলে এটাই,আমি খুব সাবধানে মোবাইলে রেকর্ডিং অন করে রাখি।
আমি সিগারেট জ্বালিয়ে একটা টান দিয়ে বলি,"সে জন্যই তো বলি শালা বাবু,দিনের বেলা তারা গুনছো কি করে।
আমি একটু ভেবে আবার বলি,"আচ্ছা এর আগে না তুমি পাশের বাসার সিমকির সাথে টাংকি মারতে।
শালা বাবু মাথা নিচু করে বলে,"ওটা সিমকি না,রুমা ছিল।
আমি সত্যিই জানতাম না,ও পাসের ফ্লাটের রুমার সাথেও টাংকি মারতো।
আমি শালা বাবুর পিঠ চাপড়িয়ে কিছু বলতে যাবো।তার আগেই শালা বাবু আমাকে বলে,"দুলা ভাই আমার পিঠে এতো মারেন কেন।
---ছি শালা বাবু এসব কি বলো তুমি।আমি তো ভাল বেসে তোমাকে আদর করি।এটাকে ভালবাসা বলে বুঝছো।
সত্যিই বলতে কি জানেন পাঠক,আমি ওকে সত্যিই সত্যিই ইচ্ছা করেই দু চারটা পিঠে চড় মেরে দেই।আমার সমস্ত বাশের কারন এই শালা বাবু।তাই আদরের নামে দু চারটা বসিয়ে দেই ওর পিঠে।
তাতেই গা টা যা একটু ঠান্ডা হয় আমার।
আমি সিগারেটে টান দিয়ে ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে শালা বাবু কে বলি,"আমার বাজার কত চড়া জানো তুমি,এই চেহেরার পাগল কত গুলো মেয়ে ছিলো তার হিসেব করতে গেলে মনে করো যে শালা বাবু দিনের পর দিন চলে যাবে।কিন্তু শেষ মেস দেখো তোমার আপুর মতো একটা পেত্নিকে বিয়ে করতে হলো আমার।সবি কপাল,কপালের নাম গোপাল।
শালাবাবু মুখ হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
---মশা ঢুকে যাবে শালা বাবু মুখটা এবার বন্ধ করো।
---আপু তো ঠিকই বলে,আপনি সত্যিই একটা আস্ত মিথ্যাবাদী।
আমি চার পাশে তাকিয়ে নিয়ে শালা বাবুর পিঠ চাপড়িয়ে বলি,"মিথ্যা কি কিছু বলেছি তোমায়।
---অবশ্যই বলেছেন,আপুর ডাইরি চিঠি সব পড়েছি আমি।প্রত্যেকটা চিঠিতে আপুকে আপনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আমি সিগারেটে শেষ টান দিয়ে ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে বলি"ধুর ওসব তো তোমার বোনকে পটানোর জন্য,ভেবেছিলাম দু দিন চুটিয়ে প্রেম করে ছেড়ে দিবো।কিন্তু তা আর হলো কই,তোমার বাবা মা এমন সুন্দর আর হ্যান্ডসাম ছেলে মানে এই আমাকে দেখে দিলেন বিয়ে পড়িয়ে।ঠিক সেই দিন থেকেই আমার যন্ত্রনার দিন শুরু,,,,,,,,
আমি ২য় সিগারেটটা ঠোটে পুরে আগুন জ্বালাতে যাবো,ঠিক তখনেই নওরীন আমার কলার চেপে ধরে বলে"কি বললে তুমি,আমার বাবা মা তোমাকে জোর করে বিয়ে পড়ায় দিছে।
নওরীন একটানে সিগারেট কেরে নিয়ে কয়েক টুকরো করে ফেলে দেয়।
আমি কিছু বলতে যাবো,তার আগেই নওরীন বলে,"তুমি থাকো তোমার সংসার নিয়ে।আমি আর থাকবোনা এখানে।তুমি মুক্তি চাও তাইতো।
নওরীন চলে যায় নিচে।সেই মুহুর্তে শালা বাবুকে ইচ্ছে করছিলো পিঠে না চাপড়িয়ে গালে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা চড় বসিয়ে দেই।শালা বাবু একটা একহাজার টাকার নোট পকেট থেকে বের করে আমাকে বলে,"সিগারেট হাতে ধরায় দিতে পারলে আপু আমাকে একহাজার টাকা দিতে চাইছিলো,আপুর বিশাইছিলো,আপুর বিশ্বাষ আপনি আর সিগারেট খাননা।বাজি ধরে টাকা জিতলাম,কিযে মজা দুলা ভাই।
যাই রুমাকে নিয়ে ডেটিং এ যেতে হপে।
শালা আমার বজ্জাতের হাড্ডি,দিনের বেলা তারা দেখালো।আর কচকচে একহাজারা টাকা মেরে দিলো।
এখোন আমি কি করে নওরীন কে বোঝাই।যা বলেছি নিজেকে হাইলাইট করার জন্য বলেছি।কিন্তু কেইবা জানতো ও হুট করে ছাদে চলে আসবে।আপনারা জানেন না পাঠক।এই পিচ্চি মেয়েটাকে পটাতে আমার দীর্ঘ তিন বছর লেগেছে।
খুব ভালবাসতাম বলে হাল ধরেই ছিলাম।শুধু বিশ্বাষ ছিলো ও আমার এক দিন নাহয় একদিন হবেই।নইলে কি সাধে আর তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়।
আমি কথা বললে শুধু উত্তর দিতো,নিজ থেকে কোন কালেই নওরীন আমাকে প্রশ্ন করেনি"কেমন আছি,কই যাচ্ছি,খেয়েছি কিনা।অনেক অবহেলা,অপমান সব সহ্য করেছি শুধুই চোখ বুঝে।
সেদিনের কথাটা আমার স্পষ্ট মনে আছে।
কফি শপে বসে ছিলাম আমি আর মেঘা।আমার প্রতি নওরীনের অবহেলার কথা গুলো যখন মেঘাকে বলছিলাম।তখনেই মেঘা আমাকে বুদ্ধি দেয়,যত দিন ওর চোখে পড়েনি তত দিন শুধু নওরীনের কলেজের সামনে রিক্সায় ঘুর ঘুর করবো দুজনে।তাতেই যদি হালে আসে আর কি।
পন্চম দিনে আমাদের টার্গেট সাক্সেস হয়েছে,,,,,,,,,,,যাক সেসব কাহিনী গল্পে অনেক পড়েছেন,তাই আর বলতে চাচ্ছিনা।
এখোন যে কাজটা করতে হবে সেটা হলো শালা বাবুকে ফোন দিয়ে মেনেজ করতে হবে।
---হ্যালো শালা বাবু,কেমন আছো?
---আমি কেমন আছি সেটা না ভেবে,আপনি কেমন থাকবেন সেটা ভাবেন।
---এ কি বলছো শালা বাবু,অবস্হা কি খুব খারাপ।
---শুধু খারাপ নয়,আপু তো আর আপনার সংসার করবেনা বলেই ভাবছে।
---সব টাই তো তোমার দোষ,বাজি ধরে টাকা তো পেলাই,সাথে আমার সংসারটা কেড়ে নিলা।আমাকে বললে কি টাকা দিতাম না,,,,,
----ধুর কিযে বলেন,আপনি যে কিপ্টার কিপ্টা।বললেই আপনি একহাজার টাকা দিতে,বরং পিঠে কয়েকটা চড় মেরে বলতেন,টাকা নিবা ভাল কথা সমস্যা নাই।তবে সেটা তোমার গার্ল ফ্রেন্ডের কাছ থেকে নাওনা।
তারপর দুনিয়ার সবচাইতে আবুল মার্কা কথা গুলো আমার হজম করতে হতো,এই রিলেশন চলার সময় আমার আপুর কাছ থেকে কত টাকা হজম করেছেন ব্লা ব্লা ব্লা।
ফোন রাখেন,রুমা ফোন দিচ্ছে,,,,,
----এই শোন শোন শালা বাবু,
ফোন কাইটোনা।নিজেরে কি মনে করো হুম।তুমি যে স্কুলের ছাত্র ছিলে সেই স্কুলের শিক্ষক ছিলাম আমি।
---কি যে বলেন দু লা ভাই,
কিছুক্ষন হেসে শালা বাবু আবার বলতে শুরু করে,,,,
----আপনার মতো আবুল পৃথিবীতে ২য়টা নাই,এটা জানেন।একটা মেয়েকে কন্ট্রোল করতে পারেননা।ছি এতো ছেলে জাতির লজ্জা,,,,,ছি ছি ছি দুলা ভাই না সরি দুলা গাই।
---অনেক লাফাইছো শালা বাবু,তোমার গার্ল ফ্রেন্ড আর পাশের ফ্লাটের কেইস টা কিন্তু আমার ফোনে রেকর্ড করা আছে।রেকর্ডিংটা অনেক সুন্দর হয়েছে,স্পষ্ট রেকর্ডিং যারে বলে আর কি????
ওপাশ থেকে আর কোন আওয়াজ নেই,,,,
---কি শালা বাবু,এভাবে অফ হয়ে গেলা যে।ব্যাটারি সাট ডাউন হয়ে গেলো নাকি।
-ও পাশ থেকে নির্বিকার জবাব,,,,
---আমাকে কি করতে হপে দুলা ভাই।
এখোন দুলা ভাই ডাকছো না,খুব তো ফাল পারছিলা।আমি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আবুল,আমি দুলা ভাই না দুলা গাই,,,,,,হ্লা।
আমি শান্ত গলায় বলি,"শোন তোমাকে কি কি করতে হবে,এই মুহুর্তে তুমি বাবার বাইকটা নিয়ে আমার বাসায় আসবা।আর সাথে এক প্যাকেট ব্লাক সিগারেট।আর তোমার বোনের রাগ ভাংগানোর জন্য বেস কয়েকটা গোলাপ ফুল।সাথে কোন আইস্ক্রিম,অবশ্যআইসক্রিম যাওয়ার সময়ে কেনা যাবে।দেরি কইরোনা জলদি চলে আসো শালা বাবু।
ওপাশ থেকে নিরীহ কন্ঠে শালা বাবু বলে,"বাইকতো আপনার ও আছে,নিজ থেকে চালিয়ে আসেননা,আর আপনি এমন কেন শালার টাকা দিয়ে বউয়ের আহ্লাদ মেটান।
---ছি শালা বাবু কিযে বলোনা,আমার পাটা না সকাল থেকে প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা করছে।আর ওই টাকাটা তো শালার না ওইটা আমার টাকা যেটা তোমার আপু তোমাকে দিয়েছে।ফোন রাখো বেশি কথা না বলে জলদি আসো।
আমার বাসা থেকে নওরীনদের বাসা ততটা দুরে নয় মাত্র পনেরো মিনিটের পথ বাইকে চেপে আসতে।
আধা ঘন্টার মাঝে শালা আমার সিগারেট আইস্ক্রিম,ফুল নিয়ে বাসায় হাজির।আমি শালা বাবুর পিট চাপড়িয়ে বলতে যাবো সাবাস এই নাহলে আমার শালা।তার আগেই শালা বাবু বাইকে উঠে বসে বলে,"চলেন,পিঠ চাপড়াতে হবেনা।
আমি যখন নওরীনের বাসায় যাই,তখন শাশুড়ি মা নওরীনের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছেন।আমি খুক খুক করে কাশি দেই,শাশুড়ি মা দু চারটা কথা বললেও নওরীন আমার সাথে একটা কথাও বলেনি।
"তুমি বরং রেস্ট নাও,
এই বলে শাশুড়ি মা যখন রান্না ঘরের দিকে গেলেন,আমি নওরীনের পাশে বসি।নওরীন আমার থেকে আরো কিছুটা দুরে সুরে বসে।আমি নওরীনের আরো কাছ ঘেসে বসি।
রাগে গাল দুটো লাল হয়ে আছে ওর।
আমি হটাত করেই সোফা থেকে উঠে নওরীনের সামনে হাটু গেড়ে কান ধরে বসে থাকলাম।তার পরেও নওরীনের রাগ কমছেনা,ও মুখ অন্য দিকে ঘুড়িয়ে নিচ্ছে।
দড়জার ওপাশ থেকে শালা বাবু হাসছে আর বলছে"পুরুষ মানুষকে একমাত্র স্ত্রী রাই পারে মুরগী বানাতে,আপনি ঠিক ঠাক মতো এক্টিং চালিয়ে যান দুলা ভাই।আম্মু যখন এভাবে আব্বুকে মুরগী বানাতো তখন আমার বয়স সাত,অনেক দিন পর এই দৃশ্য দেখলাম।তাই জানালার ফাক দিয়ে ভিডিও করে রাখলাম।পরে অনেক কাজে দিবে এটা।
হটাৎ করেই নওরীন হেসে উঠে বলে"গেলি এখান থেকে।
আমি নওরীনের হাতে হাত রাখি,ও হাত সরিয়ে নেয়।
আমি এবার জোর করে নওরীনকে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি।আমার দু হাত ওর কোমরে রাখি,সত্যি বলতে কি তখন নওরীনের মুখে লজ্জার সাগর।আমি আলতো তরে নওরীনের নাকে নাক লাগাই।নওরীন মাথা অন্য পাশে ঘুড়িয়ে নেয়।আমি তখন নওরীনের ঘাড়ে হালকা করে ঘন নিশ্বাষ ছাড়ি।নওরীন আমাকে ধাক্কা দিয়ে,পালিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়।
আমি সোফাতে বসে পড়ি,
।খাবার দেবার সময় নওরীন একবারো আমার কাছে আসেনি,আমার দু চোখ তখন নওরীন কে খুজতে ব্যাস্ত।আমি শাশুড়ি মা কে বলি,"মা নওরীন কে দেখছিনা যে।
শাশুড়ি মা বলেন,"কই যে গেলো মেয়েটা?ফোনে মেসেজের শব্দ পেয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি শালা বাবু মেসেজ পাটিয়েছে"দুলা ভাই আপু ছাদে,যান রাগ কমান।
এই মুহুর্তে শালা বাবুকে সত্যি সত্যি পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে করছে আর বলতে ইচ্ছো করছে-সাবাস শালা বাবু,এই নাহলে যোগ্য দুলা ভাইয়ের যোগ্য শালা।
নওরীন ছাদের একপাশে দাড়িয়ে বিশাল আকাসের তারা দেখছে।আমি নওরীনের পাশে গিয়ে রেলিং এ হেলান দেই।চাদের আলোয় নওরীনের চোখের পানি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
আমি আকাসের দিকে তাকিয়ে নওরীন কে বলি"সব কিছুর জন্য সরি আমি,আসলে মজা করে লিয়ন কে বলেছি সব।
নওরীন চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,"আমি জানি সব,লিয়ন সব বলেছে আমাকে।আমার বিশ্বাষ ছিলো তুমি ধুমপান ছেড়ে দিয়েছো,কিন্তু না তুমি বার বার আমাকে মিথ্যা বলেছো।
তুমি জানোনা,তোমার শরীরের প্রত্যেকটা অংশে আমার হক আছে।তোমার কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাচবো বলো।
আমি হুট করেই নওরীনকে জড়িয়ে ধরলাম।আমার চোখের কোনে অশ্রূরা এসে ভীর করে।নওরীন আমার চোখের পানি মুছে দেয়।চশমটা খুলে ওড়নাতে মুছে পড়িয়ে দিয়ে বলে,"তোমাকে কাদলে অনেকটা বান্দরের মতো লাগে।
আমি নওরীনের নাকে আলতো করে নাক ঘোষটাই।
নওরীন আমার বুকে মাথা রাখে।আকাশের বুকে বিশাল চাদটা অকৃত্রিম জোৎসনা ছড়ায়,সেই আলো দুজনে মাখি।আমি পিছন থেকে গোলাপ বের করে নওরীন কে দেই।নওরীন হেসে দিয়ে বলে"বুদ্ধু একটা,আমার ভাইয়ের কেনা গোলাপ আমাকেই দাও।
আমি দাত দিয়ে জিবে কামড় দেই,,,,,,
নিচ থেকে শালা বাবু বলে,"চালিয়ে যান দুলা ভাই,জটিল সিন।হইতাছে..........সমাপ্ত?
এতো কিছু বলার একটাই কারন সিগারেট ছাড়ুন.. ..
১ টা সিগারেট আপনার আয়রু ৫ মিঃ নষ্ট করে ফেলে

Post a Comment

Previous Post Next Post