গল্প- অতঃপর ক্রাশের সাথে একদিন,লেখা-নীলান্তিকা জেরিন



ক্রাশকে আজকে প্রপোজ করতে একটা রেস্টুরেন্টে ডেকে এনেছি। তাকে দেখা মাত্রই গেয়ে উঠলাম,
_ ইশ! কি সুন্দর যে তুই! যার তুলনা হয় না কিছুই!
ক্রাশ বললো, স্যরি কিছু কি বললে?
আবার গাইতে লাগলাম,
_ কি করে বলবো তোমায়, আসলে মন কি যে চায়!
সে এবার চোখ বড় বড় করে বলছে,
_তুমি গান গাইছো কেনো? নরমালি কথা বলো!
আমি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে গাইলাম,
_ গান আমি গেয়ে যাবো এই আসরে, তোমার এই মন আমি নেবোই কেড়ে।
এবার ক্রাশ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
_হয়েছে কি তোমার জেরিন? আর ইউ ওকে?
আমি গালে হাত দিয়ে বললাম,
_পাগল তোর জন্যে রে পাগল এ মন। পাগল!
টপিক স্কিপ করে লজ্জা লজ্জা মুখ নিয়ে,
সে এবার জিজ্ঞেসক্রা করলো,
_তো কি অবস্থা তোমার বলো? আছো কেমন?
আমি আবারও,
_ দু চোখে ঘুম আসে না। তোমাকে দেখার পরে!
ওওও.. তোমাকে দেখার পরে।
ক্রাশ এবার কিছুটা মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বললো,
_কি বলছো এসব? আমি তো অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছি।
তখন আমি হাত ধরে বললাম,
_তুমি হাতটা শুধু ধরো। আমি হবো না আর কারো।
তখন সে আবার বলতে শুরু করলো,
_ কি বলতে চাইছো? বুঝতে পারছি না তো!
তৎক্ষনাৎ উঠে গিয়ে ক্রাশের সামনে হাটু গেড়ে বসে একগুচ্ছ গোলাপ দিয়ে বললাম,
_ তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমাকে,
আমি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে!
হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে বুকে না জড়িয়েই ক্রাশ ম্লান স্বরে বললো,
_আমার তো গার্লফ্রেন্ড আছে! আর ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। অন্য কারো বফ হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
আমি ক্রুদ্ধ হয়ে আবার গেয়ে উঠলাম,
_আমি পৃথিবীর এই বুকে আগুন জ্বালিয়ে দেবো,
তুমি যদি আমার না হও! তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করো না প্রিয়,
আমি ছাড়া তুমি কারো নও!
ক্রাশ কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে ক্রাশ এবার নিজেই গাইতে শুরু করলো,
_ বিধি তুমি বলে দাও আমি কার?
দুটি মানুষ একটি মনের দাবিদার!
আমার মেজাজ তখন ৪২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছিলো,
ছোঁ মেরে ক্রাশের হাত থেকে ফুলটা কেড়ে নিতে নিতে বলছি,
_ পোলা ও পোলারে তুই অপরাধী রে,
আমার এতো দামের গোলাপের তোড়া দে ফিরাইয়া দে!

Post a Comment

Previous Post Next Post