গল্পঃনাগরাজ (প্রথম পর্ব),লেখাঃ Sukhi Akther


গল্পঃনাগরাজ (প্রথম পর্ব),
লেখাঃ Sukhi Akther

মধ্য রাতে লাবন্য গোসল সেরে ভেজা চুল গুলো তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শাড়ির আঁচল টা বুক থেকে সরে যেতেই লাবণ্য দেখতে পায় বুকে আর গলা তে দাগ বসে গেছে। বিছানার দিকে তাকাতেই সামীর কে দেখতে পায় বিছানায় এক পাশে শুয়ে আছে। কাল পর্যন্ত যেই মানুষ টা অচেনা ছিলো আজ সেই মানুষ টাই তার সর্বশ কেড়ে নিলো। অবশ্য এটা তার অধিকার ছিলো। নিজের শরীরের সব যন্ত্রণা ভুলে আয়নার দিকে তাকালো
একি দেখছে সে? আয়নায়ে লাবন্য স্পষ্ট একটা সাপ দেখতে পাচ্ছে। ভয়ে রিতীমতো হাত পা কাঁপতে শুরু করেছে। ছোটবেলা থেকে সাপ কে ভিষণ ভয় পায় লাবন্য। ঘরের মধ্যে সাপ আসতে পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু বিছানার উপর তাও আবার যেখানে সামীর শুয়ে আছে। লাবন্য চিৎকার দিবে যে মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। নিজেকে শক্ত করে বিছানার দিকে তাকাতেই ঘুমন্ত সামীর কে দেখতে পায়। কিন্তু আয়নার দিকে তাকালে আবার ঐ সাপ টাকে দেখতে পাচ্ছে লাবন্য। তার মানে শুধুমাত্র আয়নার মধ্যে সামীরের আসল চেহারা দেখা যায়? কিন্তু এটা কি করে সম্ভব যখন লাবন্য আর সামীর কে বিয়ে পড়ানোর জন্য এক সাথে বসানো হলো তখন তো ভাবীরা দুষ্টামি করে লাবন্য কে সামীরের মুখ দেখিয়ে ছিলো তখন তো তাকে সাপ দেখা যায় নি তাহলে?আয়না তে যা দেখছে তা ভুল? নাকি বিছানায় যা দেখছে তা ভুল?
মা বাবা সব কিছু জানতো?তাহলে আর যাই হোক কখনো একটা সাপের সাথে তাকে বিয়ে দিতো না।
লাবন্যের কেনো জানি মনে হচ্ছে তাকে কেউ দেখছে।
সামীর দেখছে? কিন্তু সামীর না সামীর মানুষ আর সাপ হোক সে তো ঘুমাচ্ছে। তাহলে কে?
আয়নার কাছে আর একটা সাপ কে দেখে লাবন্যের মাথাটা ঘুরছে। না আর এক মুহুর্ত এই বাড়িতে থাকা যাবে না। সামীরের দিকে এক বার তাকিয়ে দেখে এখনও সে ঘুমিয়ে আছে। আয়নার কাছের সাপটা তাকে তো দেখা যাচ্ছে না তার মানে লাবন্যের ধারনা ঠিক এখানে কিছু একটা রহস্য আছে যা লাবন্য জানে না।
দরজা টা খুলে বাড়ির বাহিরের দিকে যাবে অজানা একটা ভয় কাজ করছে। এতো সহজে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে কোনো বাঁধা ছাড়াই কল্পনা করেনি।
চারদিকে নিরবতা বিরাজ করছে যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধু জঙ্গল দেখা যাচ্ছে। কাল রাতে যখন এসেছিলো স্পষ্ট কি সুন্দর রাস্তা ঘাট দেখেছিল।বাড়ির সব মানুষ গুলো কোথায় গেলো? বাড়িতে সাপ আসলো কি করে?সামীরের সাথে থাকা প্রতিটা মানুষই সাপ।
বাড়ি যাবে কি করে?রাস্তা তো কিছু নাই যা আছে সব গাছপালা।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে চোখ খুলে তাকায় লাবন্য।
পাশে লাবন্যের মা বাবা বসে আছে। দৌড়ে কখন যে সামীরের সীমানা পেরিয়ে লাবন্যের বাড়ির কাছে চলে এসেছিলো তা লাবন্য নিজেও জানে।
-তুই এটা কেমনে করলি?(লাবন্যের মা)
-আমার মান সম্মান নষ্ট না করলে তোমার মেয়ে শান্তি পাইবো কেমনে?(লাবন্যের বাবা)
-তোমরা চুপ করবে?
সামীর কোনো মানুষ নয় বাবা। সামীরের বাড়ির সবাই সাপ।আমাদের চোখে মানুষ মনে হলেও রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় ওরা সবাই সাপ হয়ে যায়। এদের আসল রুপ শুধু আয়নার মধ্যে দেখা যায়।
-চুপ কর মুখ পুরী।সামীরের সাথে বিয়েটা ভেঙে গেলে তো তোর আর শান্তর মাঝে আর কেউ বাধা থাকবো না।
আমি সব বুঝি। এতো চেষ্টা করে বিয়েটা যখন ভাঙ্গতে পারলি না এখন আসছিস কাহিনী করতে।(লাবন্য মা)
-আমি এখন সবার কাছে মুখ দেখাবো কি করে?
যখন সবাই জানতে পারবে বাসর রাতে মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে তখন কি বলবো সবাই কে?
তোর মতো মেয়েকে জন্ম দেয়া আমার সব থেকে বড় ভুল ছিলো।
-বাবা আমি নিজের চোখে দেখছি সামীর একটা সাপ।
আমার কথা বিশ্বাস করো তোমরা।
-ঠাস করে লাবন্যের গালে চড় মেরে বসে লাবন্যের বাবা।
তুই চুপ থাক। একটু পর সামীর আসবে তখন কেউ কিছু জানার আগে ওদের বাড়ি ফিরে যাবি তুই। (লাবন্যের বাবা)
-ছিঃ তোমার মেয়ের কতো নিচে নামতে পারে যে সামীরের মতো এমন ভালো ছেলের নামে মিথ্যা কথা বলতে পারে।ঐ বাড়ির লোকেরা যখন জানতে পারবো তখন কি অবস্থা সৃষ্টি হবে এক বারও ভেবে দেখেছো? (লাবন্যের মা)
-তোমরা আমাকে মেরে ফেলো কিন্তু তবুও আমাকে ঐ বাড়িতে যেতে বলবে না।
আর কিছু বলার আগেই লাবন্য লক্ষ করলো এক অদৃশ্য শক্তি তাকে গিরে রেখেছে।
-আসসালামু আলাইকুম (সামীর)
-ওয়ালাইকুম আস সালাম(লাবন্যের বাবা)
-তুমি এটা কি করলে বউ মা?(সামীরের বাবা)
-লাবন্য মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।যাদের কাছে থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছে তাদের বাড়িতে আবার যেতে হবে তাকে।অদৃশ্য শক্তি টাও ছেড়ে দিয়েছে লাবন্য কে।
লাবন্য কে চুপ থাকতে দেখে সামীরের বাবা লাবন্যের কাছে এসে বসলো।
-আমার ছেলে যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে আমাকে বললে পারতে। এই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছো?যদি পথে তোমার কোনো বিপদ হতো তাহলে কি করতে তুমি?আমাকে কি তোমার বাবা মনে করতে পারো না।একটা মেয়ের বিয়ের পর তো স্বামীর বাড়ির মানুষজন মেয়ের আপনজন হয়ে যায়।তোমার শাশুড়ী অসুস্থ তাই আসতে পারেনি। তোমার কোনো বিপদ হলো
কিনা তা নিয়ে তোমার শাশুড়ী চিন্তিত তোমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে শান্ত হবে সে।বাড়ি ফিরে চলো মা।(সামীরের বাবা)
-আমি কি কিছু ভুল করেছি লাবন্য?
সকালে তোমাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে কতোটা দুশ্চিন্তা হয়েছিল তুৃমি জানো?
তোমাকে ছাড়া বাড়িটা পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে।
তুমি যে সবার আদরের বউ তুমি বাড়িতে না থাকলে কি করে হবে?লাবন্যের গা ঘেঁষে বসে সামীর (সামীর)
-সামীরের কাছে থেকে সরে বসে লাবন্য। আজ এই মানুষ টা কে দেখে ভয় করছে লাবন্যের। সারা শরীল কাঁপতে শুরু করেছে লাবন্যের।
-তুমি এমন কেনো করছো লাবন্য? (সামীর)
লাবন্যের হাত দুটো ধরতেই হাত দুটো এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নেয় লাবন্য। সাথে সাথে বিছানায় লুটিয়ে পড়ে।
লাবন্যের মা তারাতাড়ি লাবন্য কে ধরে সারা শরীল কাঁপছে মেয়েটার।লাবন্য অসুস্থ থাকায় সামীর লাবন্যের সাথে লাবন্যের বাড়িতে যায়।সামীরের বাবা বাড়ি ফিরে যায়।রাতে লাবন্য তার মায়ের কাছে ঘুমায়। সামীর লাবন্যের পাশে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু লাবন্য সামীর কে দেখে বার বার অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কারনে লাবন্য সাথে লাবন্যের মা ঘুমায়।
সকালে বাড়িতে হইচই শুরু হয়ে যায়।
লাবন্যদের বাড়ির কাজের ছেলেটা নাকি মারা গেছে।
একদিন সবাই কে মরতে হবে এটা স্বাভাবিক একটা ঘটনা কিন্তু ছেলেটাকে নাকি বিষাক্ত কোন এক নাগ ছোবল দিয়ে মেরেছে। সবার ভয়ে আছে তাদের ধারনা এলাকায় কোনো নাগ প্রবেশ করেছে।
.
বাড়ির সবাই ছেলেটার লাশের সামনে দাড়িয়ে আছে।
কেউ কিছু বুঝতে পারছে না কি করে কাজের ছেলে রহিত দক্ষিণ দিকের ক্ষেতে গিয়েছিল। লাবন্যের বাবার স্পষ্ট মনে আছে তিনি রহিত কে সিড়ির কাছের ঘরটায় শুতে দেখেছিলেন।তিনি ছোটবেলা থেকে রহিত কে চিনতেন আর যাই হোক রাতে ঘুমের মধ্যে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় চলে যাওয়ার অভ্যাস নাই।এমন না যে রহিত নেশা করতো তাহলে এতো রাতে সে কি করে ঐ জায়গায় গেলো?
সকালে যদি করিম মিয়া না বলতো যে রহিত কে পাশের গ্রামের দক্ষিণ দিকের ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেছেন।করিম মিয়া মনে করেছে রহিত হয়তো মজা করে শুয়ে আছে তাই তিনি রহিত কে না ডেকে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। সকালে একে একে সবাই ঘুম থেকে ওঠে গিয়েছিল কিন্তু রহিত এখন ও ঘুম থেকে উঠে নি। বড় আশ্চর্য কান্ড যেখানে এতো বছর ধরে রহিত নিজে আগে উঠে বাড়ির সবাই কে ডেকে তোলতো।লাবন্যের বাবা প্রপ্রথম মনে করেছিলো রহিত হয়তো আজ অসুস্থ তাই হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে নি।তিনি কাল রাতেও রহিত কে সুস্থ দেখেছেন রাতের মধ্যে এমন কি হলো যে রহিত এখনও ঘর থেকে বের হচ্ছে না?
বেলা যতো বাড়ছে লাবন্যের বাবার চিন্তা ততো বেশি বাড়ছে।তিনি রহিত কে বাড়ি এবং পুরো গ্রাম খোঁজে কোথাও পান নি।যখন নিজে দক্ষিণ দিকের ক্ষেতে গিয়ে রহিতের গায়ে স্পর্শ করে দেখেন রহিত সারা শরীল নীল রং ধারণ করেছে।মাথায় হাত দিতেই এক মুঠো চুল উঠে এলো।রহিত বাড়ির কাজের ছেলে হলেও কখনো তাকে কাজের ছেলে মনে করেন নি লাবন্যের বাবা।
সবাই ধরাধরি করে রহিতের লাশ টা বাড়ি নিয়ে আসলো। লাবন্যের বাবা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন এই ছোট থাকতে ছেলেটা তার বাড়িতে আসছে আজ এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে লাশ হয়ে।
সবার কাছে রহিতের মৃত্যুর বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করতে পারছে না লাবন্যের বাবা।ঘরে নতুন জামাই সে যদি ভয় পেয়ে বসে নাগ ছোবল মেরে রহিত কে মেরেছে। সারা শরীলে বিন্দুমাএ রক্ত হয়তো রাখে নি। লাবন্য কাল থেকে কিসব উল্টা পাল্টা কথা বলে যাচ্ছে সে যদি এখন সবার সামনে সামীর কে সাপ বলতে শুরু করে আমার মান সম্মান সব শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া গ্রামের মানুষজন সামীরের সাথে আমাদের কে গ্রাম ছাড়া করে ছাড়বে।
লাবন্য এমন কেনো করছে কিছুই আমার মাথায় আসে না। সামীর কি করে সাপ হবে?এক বার সাপ এক বার মানুষ হবেই বা কেনো?যদি সামীর সাপ হয়ে থাকে তাহলে লাবন্য কে কেনো বিয়ে করতে যাবে?লাবন্য ছাড়া আরো অনেক মেয়ে আছে গ্রামে।হাজারটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
মানলাম এক সময় শান্তর সাথে লাবন্যের রিলেশন ছিলো তাই বলে লাবন্য এখন সামীরের নামে মিথ্যা কথা বলবে?লাবন্য এসব কথা শুনলে সামীরের বাবা মা কখনো লাবন্য কে কখনো তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে না।
রহিতের লাশটা দাফন করার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছে বাড়ির সবাই। লাবন্য বাবা কিছু না বললেও লাবন্য পুরো বিষয় টা বুঝতে পারছে। এই কাজ সামীর অথবা তার সাথের কেউ করেছে কিন্তু কেনো?এসব করে কি লাভ সামীরের?আনমনে ভাবছে লাবন্য। পিঠে কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে ওঠে লাবন্য।
-কে?
-একটা রাত আমার সাথে কাটালে এখনও তুমি আমার স্পর্শ বুঝতে পারো না লাবন্য? (সামীর)
-আপনি এখানে?আমি তো ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছিলাম।তাহলে আপনি কি করে আমার ঘরে প্রবেশ করেছেন?
-তুমি ভুল ভাবছো লাবন্য।
তুমি নিজেই দরজা খোলা রেখেছো। ভালো করে মনে করে দেখো,হাসি মুখ করে বললো (সামীর)
-লাবন্য তাকিয়ে দেখে ঘরের দরজা খোলা।
কিন্তু লাবন্যের স্পষ্ট মনে আছে সে দরজা লাগিয়ে ছিলো।
-এতো চিন্তা করতে হবে না তো।
এখন তুমি অসুস্থ রেষ্ট নাও। নাকি ভয় করছে?আমি তোমার পাশে থাকবো?(সামীর)
-না বলে চেঁচিয়ে ওঠে লাবন্য।
লাবন্যের চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘরে আসে লাবন্য মা।
লাবন্য বিছানায় বসে আছে। লাবন্য ঘিরে সামীর বসে আছে। এই মুহুর্তে এখানে এসে বেশ লজ্জায় পড়ে গেলেন লাবন্যের মা।কিন্তু লাবন্য যে ভাবে চিৎকার দিলো না এসে কোনো উপায় ছিলো না।তিনি তো আর জানতেন না যে লাবন্য সামীরের সাথে আছে।
লাবন্যের মা কে দেখে সামীর বিছানা ছেড়ে ওঠে যায়। যেখানে যায় হয় শ্বশুর আর নাহয় শাশুড়ী থাকে নতুন জামাই বউ যে কিছু টা সময় কাটাতে চায় সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল আছে?
-তুমি বসো বাবা।
লাবন্য হঠাৎ এতো জোরে চিৎকার দিবে কে জানতো
তুমি লাবন্যের পাশে আছো জানলে কখনো আসতাম না আমি এখানে।বুঝতে পারছোই তো সকালের রহিতের ঘটনা সবার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। (লাবন্যের মা)
-সমস্যা নাই। আমি চলে যাচ্ছি আপনি বরং লাবন্যের পাশে থাকেন।আমি বাড়ির ঐ দিকে গিয়ে দেখি দাফনের কাজ কতো টুকু হলো। (সামীর)
-তুমি নতুন মানুষ তোমার কোথাও যাওয়া লাগবে না।
কোথায় আবার নতুন বিপদ শুরু হয় তার চেয়ে ভালো তুমি লাবন্যের পাশে বসো।(লাবন্যের মা)
-তোমরা সবাই যাও।আমি একা থাকতে পারবো।
আমার সাথে কাউকে থাকতে হবে না।
-হুহ কাল রাতের মতো আজও হয়তো ভয় পেয়ে এই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথায় চলে যাওয়ার প্লেন আছে? (সামীর)
-চুপ কর তো তুই লাবন্য। আমারে এবার শান্তিতে থাকতে দেয়।
সামীর তুৃমি লাবন্যের ঘরে থেকো তো বাবা।আমাদের কারোর কোনো কথা তো শুনে না এখন যদি তোমার কথা শুনে। (লাবন্যের মা)
-আপনি চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।
রাতে সবাই খেতে বসেছে।লাবন্য আসতে চায় নি সবাী জোরাজুরিতে আসলো। সবাই চুপচাপ হয়ে গেছে রহিতের ঘটনার পর থেকে।
-শুনলাম মাগরিবের সময় নাকি দুই বছরের এক বাচ্চারে সাপে ছোবল দিয়েছে। গলার কাছে ভয়ংকর ভাবে কাটা ছিদ্র করা ছিলো।তবে এটা অন্য সাপে করেছে(লাবন্যের বাবা)
-সামীরের মুখ টা লাল হয়ে যাচ্ছে। কে বলেছে তাতে এখানে আসতে?এসেছে তো আবার এক জন কে মেরে চলে গেছে। (সামীর)
রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা লাবন্যের সারা শরীল কাঁপতে শুরু করেছে এতো শীত কেনো লাগছে?চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে একটা মস্ত বড় সাপ তাকে পেঁচিয়ে রেখেছে। রাতে লাবন্য ঘুৃমিয়ে যাওয়ার পরে লাবন্যের মা তার রুমে চলে যায়।সামীর আর লাবন্য কে রুমে দিয়ে।
.
চলবে
দ্বিতীয় পর্বের লিংকঃ গল্পঃ নাগরাজ( পর্ব -ঃ২) Writer:Sukhi Akther

Post a Comment

Previous Post Next Post