গল্পঃ ব্লাক ক্যাফেটেরিয়া ☕ পর্ব-৭ লেখকঃ হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ

গল্পঃ ব্লাক ক্যাফেটেরিয়া ☕ পর্ব-৭

লেখকঃ হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ


.
.
ওহমা তকিতা অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পরই রিও হেলেনকে পেয়ে তার চারপাশে লাফালাফি করতে শুরু করে। রিওর পায়ে জংগলের কাটাযুক্ত লতাপাতার আঘাতে যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। হেলেনও রিওকে পেয়ে খুশি হয়ে ওর মাথায় চুমু খায়!! কিন্তু ওহমা রিওকে কিভাবে পেলো এটা ভেবে বেশ অবাক হতে হয় তাকে।
রিও এবং আলফাকে নিয়ে একটু চিন্তিতও হয়ে পরে হেলেন। এর ভিতরে আবার কপাল ফেটে যাওয়া রোমান!!
ক্রুইফ সাহেবের মাথার উপরে বেশ বড় একটা বোঝা হিসেবে বসে থাকতে হচ্ছে হেলেন কে।
হেলেন তার সাথে থাকা ম্যাপটাও হারিয়ে ফেলেছিলো জংগলের ভিতরে।
অনেকটা দিশেহারা অবস্থায়ই রিওর গলায় থাকা লাগাম ধরে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে সে। মনে মনে ভাবে আলফা এবং রিও কে নিয়ে ক্রুইফ সাহেবের বাসা থেকে তার প্রস্থান করাটা অত্যন্ত জরুরী।
বিষন্ন মনে যখন এমন কিছু ভাবছিলো তখন ই হেলেনের কানে ভেসে আসে ক্রুইফ সাহেবের গলা । সার্ভিস বয় ছেলেটিকে তিনি বলছেন, " ইনস্পেকটর কে আমাদের বাড়িতে নিয়ে চলো।
উনি এ অবস্থায়, রাতে কোথাও যেতে পারবেন না। "
সাদা কাপড়ে দিয়ে বাঁধা ব্যান্ডেজ চুইয়ে চুইয়ে তখন ও রক্ত পড়ছিলো রোমানের মাথা থেকে। ক্ষতটা বেশ গভীর হয়েছে।
মানুষের দুঃখ কষ্টে বৃদ্ধ ক্রুইফ সাহেবও সমান ভাবে ব্যথিত হন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই রোমানের কপাল কেটে যাওয়ায় তার কষ্ট লাগছে না। তবে দায়িত্ববোধ ও আন্তরিকতার জায়গা থেকেই তিনি রোমানকে নিজ বাসায় নিয়ে যেতে চেয়েছেন।
রোমানের মাথা তখনো পুরোপুরি কাজ করতে সক্ষম হয়নি। তার কাছে পুরো দুনিয়াটাই কেমন ঝিম ঝিমে হয়ে আছে।
ক্যাফেটেরিয়ার সার্ভিস বয়ের কাঁধে হাত দিয়ে ঢুলতে ঢুলতে ক্রুইফের বাসার দিকে এগিয়ে চলে রোমান।
ক্যাফের দরজায় তালা ঝুলিয়ে ক্রুইফ বিষন্ন হয়ে থাকা হেলেন কে জিজ্ঞেস করেন, কি হয়েছে মা? তোমার চেহারায় দুঃখবোধ?? চিন্তা করো না, রোমানের ক্ষত সেরে যাবে।
" এই মুহূর্তে রোমানকে নিয়ে আমি ভাবছিনা আংকেল। এরকম মাথা আমার বহুবার ই ফেটেছে। ও ঠিক হয়ে যাবে।"
.
.
সার্ভিস বয় ও রোমান বেশ কিছুদুর এগিয়ে গিয়েছে । একটু পেছনেই হাঁটছে রিও, হেলেন এবং ক্রুইফ।
অনেক ক্ষন চুপচাপ থাকার পরে হেলেন ক্রুইফ সাহেবকে বলে,
"আপনার মাথার উপর খুব বড় একটা বোঝা হয়ে আছি। ভালো লাগছেনা আমার। আমি হয়ত কাল সকালেই চলে যেতে পারি। "
- "না মা, আমরা মাত্র দুজন বৃদ্ধ মানুষ একটা ছেলে নিয়ে এত্ত বড় একটা লন হাউজে থাকি,
তাও তো আমি আবার এসে ক্যাফেটেরিয়াতে বসি। আমার স্ত্রী সারাদিন বাসায় একাই থাকেন। কেউ আমাদের বাসায় আসলে আমাদের বরং সময় কাটানোর সঙ্গী বাড়ে।খারাপ লাগেনা।
যাই হোক, তোমার ব্যপারে তো কিছুই জানলাম না। তুমি কোথায় যাচ্ছিলে ঐ বদমাশ লোকগুলো তোমার পেছনে লেগেছিলো কেনো!"
হেলেন উত্তর দেয়- " সে অনেক কথা, আপাতত আমার যেতে হবে পাশের এই বড় জংগলটার পথ ধরে আরো দক্ষিনে। ওখানে একটা কাজ আছে আমার। "
- " তুমি চিন্তা করো না। তোমার আলফা সুস্থ হলে ওকে নিয়ে তারপর যেও। তার আগ পর্যন্ত তুমি আমাদের এখানেই থাকো। আমাদের ভালো লাগবে। "
ক্রুইফের কথা শুনে একটু নিশ্চিন্ত হয় হেলেন।কিন্তু মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় সকালেই চলে যাবে ক্রুইফের বাসা থেকে। হেলেনের হাতের ইশারায় রিও ক্রইফের সামনে গিয়ে বসে পরে। হেলেন ক্রুইফ কে বলে, রিওর পিঠে চড়ে বসতে। একটু আমতা আমতা করার পরে ক্রুইফ সাহেব রিওর পিঠে সওয়ার হন।ক্রুইফ কে পিঠে নিয়ে হেলেনের পাশে আস্তে আস্তে হেঁটে চলে রিও, কিছুক্ষন পর পৌছে যায় ক্রুইফের বাসার সামনে।
.
.
.
.
ভয়ানক রকমের একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেংগে যায় রোমানের।
কোন একটা পাহাড়ের উঁচু টিলার উপরে দাঁড়িয়ে আছে কালো চাদর দিয়ে মুখমণ্ডল এবং গা জড়িয়ে রাখা ওহমা। পাহাড়ের পাদদেশে রোমান আরো বেশ কিছু পুলিশ সদস্য নিয়ে দাঁড়ানো ছিলো। ওহমাকে বার বার বলার পরও পাহাড় থেকে নিচে নেমে না আসায় সবাই মিলে ওহমার দিকে বন্দুক তাক করে শেষবারের মত ওয়ার্নিং দেয়,
উত্তরে ওহমা মুখ বন্ধ করে তাচ্ছিল্যতার সুরে হাসির শব্দ তোলে।
রোমান আর সহ্য করে না, ফায়ার করতে কমান্ড করে সবাইকে।
নিচ থেকে ওহমাকে উদ্দেশ্য করে বৃষ্টির মত গুলিবর্ষণ হতে থাকে।ওহমা নিজ জায়গা থেকে একচুল পরিমান ও নড়ে না। বুকে হাত বেঁধে রোবটের মত দাঁড়িয়ে ছিল। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে একটা গুলিও ওহমার গায়ে গিয়ে লাগে নি। রিভালবার চালাতে রোমানের দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। ওহমার ঠিক কপাল বরাবর লক্ষ্য নির্ধারণ করে গুলি ছোড়ে সে।
বুলেট গিয়ে আঘাত করে ওহমার চাদরে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় মাটিতে পা দিয়ে আঘাত করে রোমান। এমনটা হওয়ার তো কথা নয়!
মুখ থেকে চাদর সরে গিয়ে ওহমার মুখমণ্ডল অনাবৃত হয়ে পরে।
!! এত ভয়ানক বিদঘুটে একটা ঝলসানো চেহারা!! দেখে প্রচন্ড ভয় পায় রোমান। হুট করে ঘুম ভেংগে যায় তার। একটা দূস্বপ্ন ছিল।
মাথায় হাত দিয়ে টনটনে ব্যাথা অনুভূত করে সে। পানির পিপাসা লেগেছে প্রচুর। নিজেকে সম্পূর্ণ নতুন একটা ঘরে আবিষ্কার করে বেশ অবাক ও হয় রোমান।
আস্তে আস্তে মনে পরে, কি হয়েছিল তার সাথে। কিছু একটার সাথে পা লেগে হোঁচট খেয়ে ক্যাফেটেরিয়ার মেঝেতে পরে গিয়েছিল,
এ পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই মনে আছে তার।
ফযরের আযান হয়ে গিয়েছে বোধ হয় একটু আগেই। চারদিকে ফুটেছে ভোরের আলো। চোখ মেলে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে হেলেনের কথা। এরিকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
কিন্তু কখনো কেউ সে মামলা গুলো ইনভেস্টিগেট করার সাহসও দেখায় নি। এরিক আর তালহার গল্প মোটামুটি এ দেশের সবারই জানা। একটা গুজব চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তা হলো এরিক ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তি অর্জনের লোভে তালহা এবং তার ছেলেকে খুন করে মাটির নিচে চাপা দিয়ে দিয়েছিলো।
এ বিষয়ে রোমানের তেমন মাথা ব্যথা ছিল না।
যা অতীত তা অতীত হয়ে গিয়েছে। বিচার হলেও হয়ত সে দিনগুলোর ভুলকে সংশোধন করা যাবে না। রোমান ভাবে বর্তমান নিয়ে।বর্তমান কিভাবে ভালো রাখা যায়! এ এলাকায় কিছুদিন অবস্থান করে কয়েকটা সমস্যা সমাধান করতে হবে তার।
জংগল পথে স্মাগলাররা আর্মস এবং ড্রাগস চালান করে, এটা একটা প্রধান সমস্যা।বনদস্যুরা সম্মিলিতভাবে অনেক শক্তিশালী দল, এবং ওরা এরিকের আন্ডারে কাজ করে। এটাও একটা বড় প্রব্লেম। উপর থেকে হুট করে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি হয়ে যেতে পারে।
রোমানের তাই প্লান ছিল রাতে গেরিলা অপারেশন চালাবে তার কর্মীদের নিয়ে। বনদস্যুদের যাকে পাবে তাকেই চুপচাপ ক্রসফায়ার করে ফেলে চলে যাবে। পুলিশের পক্ষ থেকে যে এমন কিছু হচ্ছে তা কেউ টের ও পাবে না।
কিন্তু এখন সমস্যাটা হলো ওহমা তকিতা কে নিয়ে।
এরকম আজব লোক সে কখনোই দেখে নি। তার উপরে পাঁচটি লাশ উদ্ধার এবং সেগুলো গায়েব হয়ে যাওয়া!! চৌকষ ইন্সপেক্টর এ দায়িত্বে থাকা রোমানের মাথা গুলিয়ে আসে।
এগুলো ভাবতে ভাবতে বেশ অনেক্ষন সময় কেটে যায় । নাস্তা নিয়ে প্রবেশ করেন ক্রুইফের স্ত্রী। সাথে ক্রুইফ সাহেব ও। রোমান আস্তে আস্তে বুঝতে পারে সে কোথায় আছে। ক্রুইফ সাহেবকে একটা ধন্যবাদও দেয় রোমান এমন খারাপ অবস্থায় পাশে থাকার জন্য।একটু পর ক্রুইফ সাহেবের স্ত্রী চলে যায়। ক্রুইফকে একা কখন পাবে, রোমান মনে মনে এটাই ভাবছিলো এতক্ষন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ই জিজ্ঞেস করে,
ওহমা ঠিক কতদিন ধরে ক্যাফেটেরিয়াতে আসে??আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত কি কি ঘটেছিলো? আর সেদিনের পাঁচটি লাশের রহস্যই বা কি?
ক্রুইফ সাহেব মিথ্যে বলেন না। যা যা ঘটেছে তা সত্যি সত্যি সব বলে দেন রোমানের কাছে।
কিন্তু ক্রুইফকেও একটু সন্দেহ করে রোমান!ওহমার মত এরকম বর্ণনার মানুষ আদৌ কি পৃথিবীতে থাকতে পারে!!
এর ভিতরেই
হঠাৎ হেলেনের প্রবেশ ঘটে। ক্রুইফ সাহেব এ সুযোগে উঠে চলে যান। হেলেনের পেছনে পেছনে জিহবা বের করে প্রবেশ করে তার প্রিয় আলফা। আলফা এখন পুরোপুরি সুস্থ না হলেও একদম দুর্বল অবস্থায় নেই।
আলফাকে দেখেই বিপদ সন্নিকটে ভেবে কোমড়ে হাত দিয়ে নিজের রিভালবার খুঁজতে থাকে রোমান। কিন্তু খানিক বাদেই মনে পরে কাল রাতে হাত থেকে ছিটকে পরে গিয়েছিলো তার রিভালবারটি।
হেলেন রোমানের দিকে তাকিয়ে বলে " এই নাও, ধরো,
বলেই একটা কালো বাটের রিভালবার ছুড়ে মারে রোমানের দিকে।
এক হাত দিয়ে ক্যাচ ধরে নেয় রোমান। হ্যাঁ এটি ই তার প্রিয় হাতিয়ারটি। হেলেন নিজের কাছে রেখেছিলো।
হেলেন আলফাকে পরিচয় করিয়ে দেয় রোমানের সাথে।
এরিকের একটি বড় আকৃতির নেকড়ে আছে। এটাও রোমান আগে লোকমুখে শুনেছে। এবার নিজ চোখে দেখার ভাগ্য হলো।
বনদস্যুর হামলায় আলফার এক চোখের চামড়ার উপর দিয়ে একটা আড়াআড়ি কাটা দাগ পড়েছে। এতে তার চেহারা আরো দুর্ধর্ষ রূপে ফুটে উঠেছে। রোমানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর রোমানের গালে এসে জিহবা দিয়ে চেটে দেয় আলফা।
রোমানও আলফার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
হেলেন রোমানকে উদেশ্য করে বলে, বিদায় নিতে এসেছি ইন্সপেক্টর,
আমার আজই চলে যেতে হবে। আপনি বরং সুস্থ হয়েই এখান থেকে বের হবেন সেটা ভাল হবে।
হেলেনের একটু কষ্ট হচ্ছিলো কথাগুলো বলতে, কেমন একটা মায়ায় হয়ত ছোট্ট করে বাঁধা পড়েছিলো হেলেন। তাই কথাগুলো বলেই তড়িঘড়ি করে উঠে হাঁটা দেয় ।
পেছন থেকে হুট করে এক হাত আটকে ধরে রোমান!
"কোথায় যাচ্ছ!"
হেলেনকে এভাবে চলে যেতে বাঁধা দিতে দেখায় মেজাজ খারাপ হয় আলফার, ঘড়ঘড় করে একটা ভয়ানক আওয়াজ বের করে মুখ থেকে,
অবস্থা খারাপের দিকে যাবে দেখে হাত ছেড়ে দেয় রোমান। বলে,
" তোমার সাথে কিছু কথা আছে, বসে শুনে যাও, একটু জরুরী।"

হেলেন চুপচাপ ভাবে এসে রোমানের বিছানাতেই বসে।
রোমানের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, "বলুন কি বলবেন।"
- " এভাবে তাকিয়ে থাকলে বলতে পারব না।"
- কেন?
- " তোমার চোখের মায়ার সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে হবে"
আলফা একটু শান্ত হয়ে হেলেনের পায়ের কাছে এসে শুয়ে ছিল গা ছড়িয়ে। হেলেন৷ তার দৃষ্টি সেদিকে নিয়ে যায়।
রোমান জিজ্ঞেস করে, সেদিন রাতে যারা তোমাকে তাড়া করেছিলো তারা কারা! তোমাকে পেলো কোথায়!!
-" জেনে কি হবে?"
- দুষ্টু লোকদের শাস্তি।
- " বেশ বলব, তবে একটা শর্ত আছে।"
- কি শর্ত?
- আপনি আর ওহমা তকিতার সাথে ঝামেলা করতে পারবেন না।
- এটা অদ্ভুত শর্ত।
- না মানলে আমাকে উঠতে হবে।
- বেশ মেনে নিচ্ছি আমি।
আস্তে আস্তে শুরু থেকে সবকিছু বলতে শুরু করে হেলেন।কিন্তু এরিক খুন হয়েছে এবং তার মা ও খুনীকে ধরতে সে এদিকে এসেছে এ ব্যপারটি গোপন রাখে।।
রোমান সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শোনে। ঠিক করে হেলেন এবং আলফা কে নিয়ে সেই জায়গাটিতে যাবে আবার। তবে একা নয়, সাথে থাকবে প্রায় একশর মত অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ সদস্যদের বহর। এরিককে নিয়ে একটু ভিয় ছিলো রোমানের , যেহেতু তার মেয়ের উপরেই হামলা হয়েছে, এরিক যদি শুনে যে হেলেনের উপরে হামলার প্রতিবাদে বনদস্যুদের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে, তাহলে বেশ খুশি ই হবে, মনে মনে ভাবে রোমান। "
বাকি থাকলো ওহমার ব্যপার।
একটা বিষয় বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে রোমানের মাথায়।
তালহা এবং তার সন্তানের ছবি সে দেখেছিলো একটা পুরোনো ছবির ফ্রেমে। উধাও হওয়ার পরে পুলিশের কাছে যে রিপোর্ট করা হয়েছিল সেখান থেকেই দেখেছিলো ছবিটি।ছবিতে
তালহার ছেলেটির চোখের দৃষ্টি ছিলো অনেকটা মায়া বাঘের দৃষ্টির মত।ভ্রু গুলো ও ছিলো চোখে লাগার মত সুন্দর।
স্বপ্নে আজ সে যে ওহমাকে দেখেছে তার মুখমন্ডলের একপাশ বেশ বিশ্রিভাবে পোড়া হলেও অপরপাশের চোখটি ছিল একদম হুবুহু তালহার ছেলের মত টানা ভ্রু এবং বাঘের দৃষ্টি। তবে খটকা এখানেই শেষ নয়। হিসেব টা যেন মিলেও মিলল না, তালহার ছেলের নাম ওহমা ছিলো না।ছিলো ফাহাদ।
.
.
.
চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post