গল্পঃ ব্লাক-ক্যাফেটেরিয়া ☕ পর্ব ৯ | লেখকঃ হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ

গল্পঃ ব্লাক-ক্যাফেটেরিয়া  পর্ব ৯

লেখকঃ হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ


.
___________________
মাটিতে মাথা নিচু করে ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে ঘাস খাচ্ছিল রিও। কাল রাতে ওহমার চেহারার দর্শন এখনো ভুলতে পারছেনা সে। সবুজ উজ্জ্বল আলোতে পোড়া মুখ এবং মায়াবী চোখ ওহমার বেশভূষার সাথে খুব ভালো ভাবেই মানিয়ে গেছে। রিও যেখানে ঘাস খাচ্ছে তার প্রায় হাত দশেক দূরেই একটা প্রকান্ড রেইন- ট্রি গাছ। সাইজ দেখলেই বোঝা যায় গাছটি শতবর্ষী, গাছের নাম রেইন-ট্রি হওয়ারও এক অদ্ভুত কারণ আছে।
রাতের বেলা এ গাছের পাতা ও কান্ড থেকে বৃষ্টির ফোঁটার মত পানি পরে। মোটা গাছটার দেহ লম্বা হয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়েছে প্রায় বারো ফুট। তারপর মূল দেহ থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে শাখা প্রশাখা। যেখান থেকে প্রধাণ শাখা প্রশাখার উৎপত্তি, সেখানে খুব সুন্দর করে কাঠের বেড়া ও উপরে টিনের চালা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ট্রি হাউজ।
ওহমার নিবাস ওখানেই। রেইন ট্রির শাখায় প্রশাখায় হাজারো রকম পাখির নিবাস ছিলো।এক শাখার চূড়ায় পক্ষীরাজ ইগলের বাসা তো অন্য শাখার কুটুরীতে হীরামন তোতার বাসা।
এছাড়াও মৌটুসী, হামিংবার্ডের মত ছোট ছোট পাখিরাও নির্বিঘ্নে বসবাস করতো সেখানে। সকাল হলেই তাদের কিচিরমিচির ডাকে মুগ্ধ হয়ে যায় রিও।গাছের তলা জুড়ে নরম দুর্বা ঘাস।
তার একটু পাশেই রয়েছে ছোট্ট স্বচ্ছ পানির জলাশায়। মাঝে একটি ফুটন্ত নীল পদ্মফুল।
রিও নরম দুর্বা ঘাসগুলো চিবোতে চিবোতে পানি খাওয়ার জন্য এগিয়ে যায় জলাশয়ের দিকে। কি টলমলে পানি!! মুগ্ধ হয়ে যায় রিওর চোখ। লাল হলুদ কিছু মাছ জলাশয়ে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। রিও মাথা নুইয়ে ঘাড় পর্যন্ত তার গলা ডুবিয়ে দেয় জলাশয়ের ভিতরে। নাক দিয়ে বাতাস ছেড়ে বুদবুদ তৈরি করে। বুদবুদ গুলো অদ্ভুত শব্দ তুলে উপরের দিকে চলে যায়।
যেনো একটা স্বপ্ন পুরীর মত রাজ্যে চলে এসেছে রিও। এই পুরো জায়গাটাকে আড়াল করে রেখেছে দুটি পাষন্ড পাথুরে পাহাড়। লোকালয় থেকে অনেক দূরে। এদিকটায় মানুষজনের বসতি নেই, তাই বনদস্যুরাও পাহাড় বেয়ে এদিকে আসে না।।
বিস্তীর্ন এই জংগলের বুকে যে শুধু বনদস্যুরা থাকে তাও না। লোকালোয়ের কোল ঘেষে জংগলের ভিতরে গড়ে উঠেছে একটি ছোট্ট বস্তি।
বস্তি বলতেই চোখের সামনে ভেসে আসে জড়োসড়ো হয়ে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ঘর। যেখানে নিম্নবর্গের মানুষদের বসবাস।
মজার ব্যাপার হলো, বসতি শব্দটা থেকে বস্তি শব্দের উৎপত্তি।সামান্য একটু পরিবর্তন গরিব ও বড়লোকদের জীবনযাত্রার মাঝে কত বড় একটা ফারাক তৈরি করে দিয়েছে।
.
.
রোমানের কোন প্রকারের ধারণাই ছিলোনা, গহীন জংগল, শুধুমাত্র বনদস্যুদের আঁতুড়ঘর নয়। ওখানে একদম নিম্নবর্গীয় কিছু মানুষ ও থাকে। সবার তো আর পয়সার উপরে জীবন চালানোর সামর্থ্য থাকে না। তারা জংগলের প্রাকৃতিক দানের উপর নির্ভর করে আরো ক'টা দিন নিজেদেরকে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
বনদস্যুদের ঘায়েল করতে গিয়ে রোমানের হাতে হয়ত মারা পড়তে যাচ্ছে নিরীহ এই লোকগুলো ও। এসব সম্পর্কে রোমানের একটুও ধারণা ছিলো না। থাকবেই বা কি করে! রিসার্চ করে সব তথ্য জানার বদলে এখন তার মাথার ভিতরে জেঁকে বসেছে হেলেন।
কয়েক ঘন্টা দৃষ্টিশক্তিহীন থাকার পরে, আস্তে আস্তে চোখ ঠিক হয়ে যায় রোমানের। পরক্ষনেই
রোমানের মনে হতে থাকে সত্যিই সে হেলেনকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। রোমানের জীবনে প্রেম এসেছিলো আরো অনেক আগেই।
ছোটবেলা থেকেই রোমানের চেহারার প্রতি মেয়েরা খুব বেশি পরিমানে আকৃষ্ট হত,
তাই ভালোবাসার শুরুটা হয়েছিল সেই কিশোর বয়সেই।
অভিজাত পরিবারের সু শিক্ষার বদৌলতে রোমান ছোট বেলা থেকেই
অনেক বেশি সৎ একজন মানুষ, তবে একগুঁয়ে। অন্য সব ভালো গুন রোমানের ভিতরে থাকলেও ক্ষমা করার মত গুনটা তার চরিত্রে ছিল না।
রোমান যা অপছন্দ করতো তার কোন একটি যদি ভুলেও তার প্রেমিকারা কখনো করে ফেলত,
তার প্রেম ভালোবাসা ওখানেই গুটিয়ে যেত। রোমান অনেক মেয়ের সাথেই খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশত। কিন্তু প্রেমিকাদের কোনো ভুল কখনো ক্ষমা না করার কারণে কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কটা স্থায়ী হয়নি।
সেই রোমান এখন হেলেনের প্রেমে তুমুলভাবে ডুবে গিয়েছে। রোমানের কাছে মনে হচ্ছে এমন একটা মেয়েকে শত- সহস্রবার ক্ষমা করে দেয়া যায়, সেটা যত বড় অপরাধ বা ভুল ই হোক না কেন!!
.
.
.
হেলেন রিওকে খুঁজে পাচ্ছেনা কোথাও। আলফা কিছুক্ষনের মধ্যেই তার ব্যাথা কাটিয়ে উঠেছে।অবশ্য আলফার এটা প্রাপ্যও ছিল। রিওর পা থেকে যে রক্ত ঝড়ছিলো সেটা আলফা দেখতে পায় সেদিন। ঐ রক্তের সূত্র ধরে বনদস্যুরা রিও ও আলফাকে ধরে ফেলতে পারে, এজন্য আলফা আগেই দৌড়ে চলে এসেছিল।
হেলেন রিওকে না পেয়ে মন মরা হয়ে বসে ছিল ঘরের দেউড়িতে। আলফার সাথেও তেমন ভালো সময় কাটছেনা হেলেনের।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মন মরা ভাবেই কেটে যায় হেলেনের।
ততক্ষনে রোমান কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। ঘা না শুকালেও আঘাতটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে।
রোমান হেলেনকে প্রস্তাব দেয় ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে একসাথে চাড্ডা( চা- আড্ডা) দেয়ার জন্য।
হেলেনের মন ও ভারাক্রান্ত ছিল। সেও রাজি হয়ে যায়।
রোমান সব সময় ই পছন্দ করে সরাসরি কথা বলতে। হেলেনের একপাশে হাঁটছিল আলফা, অন্যপাশে রোমান।
রোমান আবছা অন্ধকারে হাঁটতে হাঁটতে হেলেনের হাত চেপে ধরে, হেলেন প্রথমে ইতস্ততভাবে হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইলেও পরে আর জোর বেশি করে না।
রোমান হেলেনের হাত আরো জোরে শক্ত করে চেপে ধরে বলে,তোমার এ হাতটি সারাজীবন আমার হাতের মুঠোয় রাখব।
সুযোগ দিবে!!
হেলেন এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নেয়।
রোমানের দিকে দুষ্টুমির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, উত্তর দিব। যদি তুমি আমায় ধরতে পারো, বলেই খিলখিল করে হাসি দিয়ে ছুট দেয় হেলেন। চোখের সামনে থেকে সাঁই করে দূরে সরে গেল সে।
রোমান ও তো কম যায়না। সেও ছুটলো হেলেনের পিছনে। তাদের পিছনে ছুটল আলফাও। আলফা ইচ্ছে করেই ধীর গতিতে সবার শেষে ছুটছিলো।
হেলেন বাতাসের বেগে দৌড়ায়, রোমানও কম যায়না। একদম ক্যাফের সামনে চলে আসার একটু আগ মূহুর্তে হেলেনের দু কাঁধে হাত দিয়ে হেলেনকে ধরে ফেলে রোমান।
তখন ই হেলেন আলতো করে একটু হেলান দেয় রোমানের গায়ে।
রোমানের হৃদয়ের ভিতরটা যেন তখন ভেংগে চুরে যায় ভালোবাসার ধাক্কায়। রোমানের আর উত্তর জিজ্ঞেস করার মত মুড থাকেনা। গলা ধরে আসঁছিল তার।
দুজনে এরপর হাঁটতে হাঁটতে স্বাভাবিকভাবেই ক্যাফেটেরিয়াতে ঢুকে।
হেলেন ও রোমান দুজনেই ঘামছিল দরদর করে। টিস্যু পেপারের বক্স টি এগিয়ে দেয় জ্যাক।
রোমান নিজে টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছে, হেলেনের কপাল থেকেও মুছে দেয়। হেলেন রোমানের ভিতরে একটু একটু করে নির্ভরতা খুঁজে পেতে শুরু করে।
রোমানকে নিয়ে হেলেন গিয়ে বসে ক্যাফের মাঝের দিকে একটি টেবিলে। ডেস্ক টেবিল কে পেছনের দিকে রেখে রোমানের দিকে মুখ করে দুজন মুখোমুখি হয়ে বসে যাতে রোমান ছাড়া ক্রুইফ বা সার্ভিস বয় দেখতে না পায় হেলেনকে। গরম গরম চায়ের অর্ডার করে রোমান সিগারেট ধরিয়ে নেয়। হেলেন তার মুখবন্ধনী খুলে রাখে। হেলেনের অপরূপ সৌন্দর্যের ছটা এসে লাগে রোমানের চোখে। একটা মানুষের মুখশ্রী কতটা সুন্দর হলে তা অন্ধকারেও ঝকমক করে! তা ভেবে পায়না রোমান।
বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকা যায়না হেলেনের দিকে। একটু তাকিয়েই সাথে সাথে আবার চোখ সরিয়ে ফেলতে হয় রোমানের।
আলফা ক্রুইফের ডেস্কের সামনে গা এলিয়ে শুয়ে ছিল।
হঠাৎ করেই আলফা কুই কুই শব্দ তুলে। হেলেনের পাশে এসে বসে। হেলেন জানে আলফা কখন এমন আচরণ করে। কিন্তু আলফা হুট করে ভয় পাচ্ছে কেনো সেটার হিসেব মেলাতে পারেনা হেলেন। আলফা ছুটে এসে হেলেনের পায়ের কাছে মাথা দিয়ে নাকমুখ গুজে রাখে।
কিছুক্ষন যেতে না যেতেই অন্ধকার ক্যাফেকে আরো বেশি অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়ে ক্যাফেতে প্রবেশ করে ওহমা তকিতা।
ওহমা তকিতা প্রবেশ করার সাথে সাথেই কেমন যেন বদলে যায় ক্যাফের পরিবেশ। জ্যাক, ক্রুইফের তাড়াহুড়ো বাড়ে। কারণ ছাড়াই ক্ষেপে যায় রোমান, রাগে গজগজ করতে থাকে।
হেলেনের বুকের কাঁপন বাড়ে। আলফা ভয় পেয়ে আরো গুটিসুটি মেরে যায়। হেঁটে হেঁটে হেলেন ও রোমানের পাশ থেকে একদম পিছনের দিকে চলে যায় ওহমা।
হেলেন পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে যেমন নাকে এসে কাঁঠালচাপার মিষ্টি ঘ্রাণ এসে লাগে, ওহমা পাশ থেকে হেঁটে গেলে চোখে এসে লাগে আরেকটু গাঢ় অন্ধকার।
হেলেন এবং রোমান কে চা দেয় জ্যাক। হেলেনের চেহারার দিকে তাকানো সে কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবারও জ্যাক কিছুক্ষনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে চায় না।
ওহমার জন্য চা পরিবেশন করেন বৃদ্ধ ক্রুইফ।
ধুমায়িত চায়ে চুমুক দেয় তিনজন ই। চায়ে চুমুক দিতেই রোমানের রাগ কিছুটা কমে আসে। ক্যাফেতে যেন অনেক বেশি অন্ধকার নামে। তিনজনেই গরম গরম অন্ধকার-চায়ের নেশায় বুঁদ হয়ে যায়।
.
.
ক্যাফের পরিবেশ একদম ঝুম নিরব হয়ে যায়। বৃদ্ধ ক্রুইফের গলায় ছোট্ট একটা কাশি আসলেও তিনি তা অতি কষ্টে চেপে রাখেন। চা বানানোর টুং টাং আওয়াজও এখন করা যাবেনা। এর ভিতরেই বেশ উচ্চস্বরে কথা বলে ওঠে রোমান,
- "জানো ! আমি আমার লাইফে বেশ অনেকজন কে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছি।
পারমিশন ছিলো বুঝলে!!
আমার আবার মাথাটা একটু ত্যড়া। রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনা। "
কোমর থেকে রিভালবার বের করে রোমান।বুলেট রাখার খাজ টা বের করে ঘুরান দেয় সে,কড়কড় শব্দ করে বুলেট ঠাসা খাজ টা ঘুরতে থাকে।
রোমানের বলা কথা ও কাজ গুলো হেলেনের কাছেও এই মুহূর্তে প্রচন্ড বিরক্তিকর লাগছে। ভ্রু কুঁচকে হেলেন তাকিয়ে থাকে রোমানের দিকে। হুট করে দাঁড়িয়ে যায় ওহমা। চলে যাওয়ার জন্য পা বাঁড়ায় ক্যাফেটেরিয়ার দরজার দিকে। ক্রুইফের মুখে অন্ধকারের ছায়া নামে। এত তাড়াতাড়ি উঠে যেতে দেখে নি সে কখনো ওহমা কে। চায়ের কাপে এখনো অনেক চা বাকি, বুঝতে পারে সে। রোমান টিটকিরি কেটে ওহমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে,
রিভালবারের কথা শুনলে অনেকের ই কলিজার পানি শুকিয়ে যায়।
রোমান কি বলছে সেদিকে একটুও খেয়াল নেই হেলেনের।
হেলেন তাকিয়ে আছে ওহমার দিকে। মনে হচ্ছে ওহমা তকিতাকে কিছু একটা বলা উচিৎ তার।
ক্যাফের দরজার বাইরে পা দিবে ওহমা, ঠিক সেই মুহূর্তেই হেলেন ছুটে যায় ওহমার দিকে। বার বার নাম ধরে ডাকলেও ফিরে তাকায় না ওহমা। হেলেনের পেছন পেছন ছুটে আসে রোমান। আলফা ভয়ে ক্যাফের ভিতরেই দাঁড়িয়ে থাকে।
ওহমার পেছন পেছন ক্যাফের বাইরে চলে আসে হেলেন। এবার আর হাত ছাড়া করা যায়না। ওহমার গায়ে থাকা কালো চাদর টেনে ধরে সে। ওহমা দাঁড়িয়ে যায়। সাথে সাথে চাদর ছেড়ে দেয় হেলেন। মনে মনে একটু ধাক্কা লাগে, চাদর ধরাটা উচিৎ হলো কিনা!!
টগবগ টগবগ করে ছুটতে ছুটতে রোমান ওহমা এবং হেলেনের সামনে উপস্থিত হয় রিও। রিওর গলায় একটা দড়ি বাঁধা। দড়ির এক প্রান্ত রিওর গলায় বাঁধা থাকলেও অপর প্রান্ত একটা মানুষের দেহের গলার সাথে বাঁধা। গলা বললে ঠিক ভুল হবে, গলার মাংস সরিয়ে মূল স্বরনালীর সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পিচঢালা রাস্তায় টেনে হিচড়ে নিয়ে আসায় গায়ের চামড়া অর্ধেক উঠে গিয়ে ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে। ছিড়ে উঠে আসা চামড়াটাকে মনে হচ্ছে গায়ের ছেড়া জামা।
কেউ একজন কাউকে খুন করে এভাবে রিওর গলায় লটকে দিয়েছে। রিও টেনে হিঁচড়ে লাশ সহ উপস্থিত ক্যাফের সামনে।
এ দৃশ্য দেখেই সাথে সাথে জ্ঞান হারায় রোমান।
ওহমা হেলেনের দিকে না তাকিয়েই বলে,
" এরিকের মৃত্যুটা আমার হাতে খুব কঠিনভাবে হত। তোমার বাবা খুন হয়ে বেঁচে গিয়েছেন। স্যামুয়েলকে খুঁজতে হবেনা। রিওর সাথে বাঁধা স্যামুয়েলের লাশ। তুমি বাড়ি ফিরে যাও।"
কথাগুলো শুনে আকাশ থেকে পরে হেলেন।
এরিকের মৃত্যুর খবর ওহমা কিভবে জানে! আর ওহমাই বা এরিক কে খুন করার জন্য খুঁজছে কেন!
.
.
চলবে..

Post a Comment

Previous Post Next Post